যশোরে চাউল চুরির অভিযোগে কোম্পানীর তিন কর্মচারী গ্রেফতার

রাজার হাট মুড়লী মোড়স্থ এ্যারিষ্টোফুড এ্যাক্সপোটার লিমিটেড থেকে কোম্পানীর কর্মচারীর যোগসাজসে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার ছয় প্রকারের ৩০৯ বস্তা অর্থাৎ ৭ হাজার ৫শ’ ৫০ কেজি চাউল চুরি করে ট্রাকে করে পাচার করার সময় কোম্পানীর এক ট্রাক চালকের হাতে ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাটা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামের শাহিন কবিরের ছেলে বর্তমানে কোম্পানীর লোডিং সুপার ভাইজার বিপ্লব হোসেন,

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের মৃত সাইয়েদ আলী সরদারের ছেলে বর্তমানে কোম্পানীর ট্রাক ড্রাইভার জোহর আলী ও মণিরামপুর উপজেলার ব্রাম্মনডাঙ্গা গ্রামের মৃত জামিন গাজীর ছেলে বর্তমানে কোম্পানীর সিকিউরিটি চেকিং গেটম্যান জিএম মনিরুজ্জামান।

যশোর শহরের ১৯, কেশব লাল রোড,মাইকপট্টি মৃত হাজী দ্বীন আলী মোড়লের ছেলে বর্তমানে ১৬৬/১৬৭, মুড়লীর মোড়, রাজারহাট এলাকার এ্যরিষ্টোফুড এ্যাক্সপোর্টার লিঃ পরিচালক আব্দুল মোনায়েম বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় কোম্পানীর তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিদিনের ন্যায় কোম্পানী হতে চাউল কোম্পানীর নিজস্ব ট্রাক (যশোর – ট – ১১- ৪২০০) তে কোম্পানীর সুপার ভাইজার বিপ্লব হোসেন ও ট্রাক ড্রাইভার জোহর আলী সহায়তায় বিভিন্ন নামীয় ছয় প্রকারের চাউল কোম্পানীতে নিয়োজিত বৈধ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ব্যতীত তাহাদের অজান্তে মঙ্গলবার ১৭ মে সকাল সোয়া ৭ টার পর লোড করে বাইরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কোম্পানীর মূল ফটকে জোহর আলী ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে বের হওয়ার সময় মূল ফটকে থাকা কোম্পানীর অপর এক ড্রাইভার প্রিন্স এর নিকট

চাউলের বিষয়ে চেকিং এর সময় সিকিউরিটি চেকিং গেটম্যান জিএম মনিরুজ্জামান কৌশলে গাড়ীকে গেট পাস দেওয়ার সময় সেখানে থাকা কোম্পানীর ড্রাইভার প্রিন্স এর সন্দেহ হলে গাড়ীটি আটকিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ড্রাইভার প্রিন্স পরিচালক আব্দুল মোনায়েমকে খবর পরিচালক তার গাড়ীর ড্রাইভার মহাসিনকে সাথে নিয়ে মূল ফটকে যায়।

ট্রাকে থাকা বাইরে উদ্দেশ্যে যাওয়া চাউল সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে কোন প্রকার অফিসিয়াল বৈধ কাগজপত্র জোহর আলী দেখাতে পারে নাই।

জোহর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় সুপার ভাইজার বিপ্লব হোসেন ও জিএম মনিরুজ্জামানের সহায়তায় ছয় প্রকারের ৩০৯ বস্তা চাউল ট্রাকে লোড করে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সম্পর্কে কোন প্রকার সদত্তর দিতে পারে নাই।

পরবর্তীতে পরিচালক কোম্পানীর মালিককে অবহিত করে অফিস স্টাফসহ অফিসের বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই বাছায় করে ট্রাকসহ চাউলের বৈধ কোন গেট পাস পায়নাই।

কোম্পানীর মালিকের নির্দেশে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা আসলে অফিসের স্টাফরা ঘটনার বিষয়ে খুলে বলেন। আসামীদের কাছে পুলিশ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাউল চুরির ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে আসামীদের হেফাজতে নেন।

স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দতালিকা প্রস্তুত করেন। আসামীদের বিরুদ্ধে ৩৮১/৪১১ পেনাল কোড অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়। বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে।