যুক্তরাষ্ট্র পঙ্গু হয়ে গেছে: ওবামা

obama

টেক্সাসের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুক হামলায় ১৮ শিশুসহ ২১ জন নিহত হওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্র পঙ্গু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, সারা দেশেই অভিভাবকরা তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত। সন্তানকে নিয়ে কোনো সুপার শপ বা জনসমাগমস্থলে গেলে অথবা তাদের স্কুলে রেখে আসার পর কী হতে পারে, তা নিয়েই চিন্তায় থাকেন বাবা-মায়েরা। খবর বিবিসির।

টেক্সাসের স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ওবামা বলেন, স্যান্ডি হুকে হামলার প্রায় ১০ বছর পর এবং বাফেলোতে হামলার ১০ দিন পর- আমাদের দেশ পঙ্গু হয়ে গেছে।

ভয়ে নয়, অস্ত্র আইন বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া একটি রাজনৈতিক দল আছে যারা এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে এমন কোনো কাজ করতে ইচ্ছুক নয়৷

এদিকে মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডের পর হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আবেগঘন বক্তৃতার শুরুতেই বাইডেন বলেন, ‘আরও একটি গণহত্যা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আমি আশা করেছিলাম, আমাকে আর এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে না।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, টেক্সাসে হামলার প্রেক্ষাপটে কড়া সুরে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও মন্তব্য করেন বাইডেন। সম্প্রতি বাফলোর বন্দুক হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় উভয় ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ঘটনা দুটি আলাদা। তবে টেক্সাস এবং বাফেলো ‍দুই জায়গাতেই ১৮ বছর বয়সী দুই তরুণ হামলা চালিয়েছে। এ সংক্রান্ত আইনের দুর্বলতার কারণেই তারা অস্ত্র কিনতে পেরেছে এবং এ ধরনের জঘন্য অপরাধ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।

বাইডেন আরও বলেন, ‘আমরা কেন এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি না? কেন আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে বাঁচতে চাই? কেন আমরা এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দিচ্ছি?’

সন্তান হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে আমাদের এটা পরিষ্কার করতে হবে যে এখনই কাজ করার (অস্ত্র আইন নিয়ে) সময়। যারা অস্ত্র আইন বাস্তবায়নে বাধা দেয় তাদের বলতে চাই- মনে রাখবেন, আমরা এসব ভুলব না।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেক্সাসের উভালদে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুক হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন হামলাকারী।

তিনি ওই স্কুলটির সাবেক শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থলে আসার আগে ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণ তার দাদিকেও গুলি করে এবং তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।