ট্রাক ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে চালক রেজাউল করিমকে হত্যা

jessore map

ট্রাক ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে চালক রেজাউল করিমকে হত্যা করা হয়েছে। হেলপার হৃদয়সহ অজ্ঞাত আসামিরা রেজাউল করিমকে হত্যা করে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত রেজাউল করিম বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকীর চরের জাফর মুন্সির ছেলে। নিহত ট্রাক চালক রেজাউল করিমের স্ত্রী হাসিনা বেগমের দায়েরকৃত মামলা ও তদন্তকর্মকর্তার সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

বুধবার সকালে নিহত ট্রাক চালকের স্ত্রী হাসিনা বেগম কোতয়ালি থানায় স্বামী হত্যার মামলা করেন। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ আসামি অজ্ঞাত নামা দেখানো হয়। আসামি হচ্ছে গাজিপুর জেলার টঙ্গী থানার ব্যাংকপাড়া খরতৈল গ্রামের জসিমের ছেলে হৃদয় (২৪)। গত তিন মাস হৃদয় রেজাউল করিমের ট্রাকে হেলপারের কাজ করে।

মামলায় বলা হয়েছে, ট্রাকটি দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় চলে। ৩০ মে দুপুরে রেজাউল করিম ভাড়া খাটার উদ্দেশ্যে ট্রাক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রেজাউলের সাথে প্রতিদিন স্ত্রী হাসিনা বেগমের মোবাইলে কথা হয়। ২০ জুন সোমবার রাতেও রেজাউল করিমের সাথে স্ত্রী হাসিনা বেগমের কথা হয়। ভিডিও কলে ছেলেকেও দেখে। এ দিন রেজাউল করিম স্ত্রীকে জানায়, তিনি বর্ডার এলাকায় আছে। কোন টিপ নেই। এখন তিনি যশোর নওয়াপাড়া যাবেন।

সেখান থেকে কাঠাল নিয়ে কাল (২১ জুন) বরিশাল আসবেন। স্ত্রী হাসিনা বেগম স্বামীকে এতো রাতে যেতে নিষেধ করেন। রেজাউল করিম বলেন নওয়াপাড়া যেয়ে গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে থাকবে। ২১ জুন মঙ্গলবার সকালে রেজাউল করিমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশকে জানানো হয়, কোতয়ালি থানার ঘুনি নাথপাড়া যশোর খুলনা মহাসড়কের পাশে জনৈক রাশেদুল ইসলামের পুকুরে ভাসমান চিৎ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা মৃত দেহ পড়ে আছে।

পুলিশ ঘটনা স্থলে যেয়ে নাম ঠিকানা যাচাই বাছাই করে রেজাউল করিমকে সনাক্ত করে। মামলায় আরো বলা হয়েছে ২০ জুন সোমবার রাত ১০টা থেকে ২১ জুন মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮ টার ভিতরে যে কোন সময় আসামি হৃদয়সহ অজ্ঞাত নামা আসামিরা রেজাউল করিমকে পরস্পর যোগ সাজসে হত্যা করে রাশেদুলের পুকুরে ফেলে দিয়ে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এস আই জাকির হোসেন বলেন, আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিট আসামি আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করছে।