শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলা: সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে

পাবনা ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এর আগে গত শনিবার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকারিয়া পিন্টুকে (৫০) গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-২। পরদিন রবিবার গ্রেফতার আসামিকে পাবনা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে রাতেই জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।

গ্রেফতার পিন্টু পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে এবং পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ইত্তেফাককে বলেন, ২০১৯ সালে ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টু এই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি তিনি।

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পথসভা করার কথা থাকলেও বর্ণিত আসামি বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন।