২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পাস

songsod
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২২ পাসের মধ্য দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদে এ বাজেট পাস হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্দিষ্টকরণ বিল পাসের প্রস্তাব করেন। সংসদে উপস্থিত সাংসদরা কণ্ঠভোটে তা পাস করেন।

এ সময় সংসদে উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে শুক্রবার থেকে নতুন বাজেট কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট এবং বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রস্তাব করেন। গত ১৩ জুন সংশোধিত বাজেটের মধ্যে যে বাড়তি ব্যয়ের প্রাক্কলন, অর্থাৎ সম্পূরক বাজেট পাস হয়। এ বছর সম্পূরক বাজেট ছিল ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। করহারের বিভিন্ন পরিবর্তনসহ অর্থ বিল পাস হয় ২৯ জুন।
আওয়ামী লীগ সরকারের এবারের মেয়াদের চতুর্থ বাজেট এটি। এবারের বাজেটের শিরোনাম- ‘কভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’। বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব সংগ্রহে প্রবৃদ্ধি থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না। এ বছরও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে ধরে নিয়ে সরকার বড় ঘাটতি নিয়ে বাজেট করেছে।

অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখা যাবে। আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এবারের বাজেটের আকার জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, এনবিআরবহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা আর কর ব্যতীত প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। ফলে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বাজেটে এ হার ছিল ৬ দশমিক ২। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে এ ঘাটতি মেটানো হবে।

আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট আট লাখ ৮৩ হাজার ৭৫১ কোটি ৮১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। এর মধ্যে সংসদ সদস্যদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ১৮ হাজার ৮২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় দুই লাখ ৬৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাইকোর্টে বিচারপতি ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনও অন্তর্ভুক্ত।