ঝিনাইদহে কৃষকের ১’শ কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা

ঝিনাইদহে এক কৃষকের বাগানের ১’শ টি কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার পবাহাটি গ্রামের মাঠে কৃষক মো. নওশের আলীর কলা গাছ কেটে দেয়।কৃষক মো. নওশের আলী জানান, মকবুল হোসেন দাখীলিয়া মাদ্রাসার কাছ থেকে ১৯ শতক জমি বছর চুক্তি লিজ নিয়ে চাষআবাদ করছি ১২ বছর ধরে।

কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামের বাকু নামের এক জন এসে দাবী করছে এটা তার জমি। সে দখন নেবে বলে জানান। মাদ্রাসা থেকে জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছি মাদ্রাসার সাথে কথা বলতে বলতে সে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। এর এক দিন পর দুপুরে লোক জন নিয়ে এসে আমার জমির প্রায় ১শটি কলা গাছ কেটে দেয়। এতে আমার প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জমির পার্শ্ববর্তী বাড়ির রাবেয়া খাতুন নামের এক নারী জানান দুপুরে বাকু দুইটি লোক নিয়ে ওই জমির কলা গাছগুলো কাটতে থাকে আর বলতে থাকে আমার জমির দখল আমি নেব।

কে কি করে দেখব মারামারি করতে হলেও করব।মাদ্রাসা সহ সভাপতি মো. আব্দুল মান্না জানান, আজ থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর আগে ইদ্রিস বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি আমাদের মাদ্রাসার নামে ১৯ শতক জমি দান করে দলিল করে দেন। তার পর থেকে জমিটি আমার কৃষকদের কাছে বছর চুক্তি লিজ দেওয়া হয়। সেখান থেকে যে অর্থ আসে তা দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। তিনি আরো জানান বাকু জমির বিষয়ে আমাদের সাথে কোন কথা না বলে কৃষকের কলাগাছ কেটে জোর করে জমি দখল নিতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে থানায় জানানোর জন্য মাদ্রাসা কর্তিপক্ষ সিন্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাকুর ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ সোহেল রানা জানান এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।যশোরে আবারো একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ

যশোরে বিয়ের আট বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। গৃহবধূর নাম শারমিন আক্তার শম্পা (২৬)।
তিনি সদর উপজেলার বসুন্দিয়া খান পাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী।

সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে যশোর শহরের শহরের বেসরকারি কুইন্স হাসপাতালে অস্ত্রপাচার (সিজারের) মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হয়। একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় শারমিন আক্তর শম্পার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
জানা গেছে, সোমবার বিকালে শম্পার প্রসব বেদনা উঠলে তাকে সন্ধ্যায় কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত সাড়ে ৮টার দিকে, গাইনি ও বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. প্রতিভা ঘরাইর তত্ত্বাবধানে অস্ত্র পাচার (সিজারের) মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হয়। এদের মধ্যে দুটি পুত্র ও দুটি কন্যা সন্তান। শম্পা ও তিন শিশু বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। একটি শিশু আদ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শারমিন আক্তার শম্পা জানান, তার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনিও খুব খুশি হয়েছেন। চার সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

কুইন্স হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. প্রতিভা ঘরাই বলেন, নবজাতকদের স্বাভাবিক ওজন হলো আড়াই কেজি। কিন্তু এই চার নবজাতকের মধ্যে একজনের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়ায় তাকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ওই শিশুটি দ্রুত সুস্থতা লাভ করবে বলে আমরা আশাবাদী।

কুইন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির কবু বলেন আমাদের হাসপাতালে গাইনি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাক্তার প্রতিভা ঘরায় এর তত্ত্বাবধায়ন এক গৃহবধুর অস্ত্রোপাচার (সিজারের) মাধ্যমে চারটি সন্তান জন্ম হয়েছে। শিশুদের মধ্যে দুইটি ছেলে দুটি মেয়ে জন্ম হয়েছে। তারা সকলে সুস্থ আছে। মা এবং চারটি শিশু যাতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।