ব্যর্থ হলে সরকারের সরে দাঁড়ানো উচিত: জিএম কাদের

ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, ‘লোডশেডিং এর নামে দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘রাজধানীর কিছু ভিআইপি এলাকা ছাড়া বিদ্যুতের অভাবে মানুষ অসহনীয় কষ্ট সহ্য করছে। রাজধানীর বাইরে বিদুৎ বিপর্যয়ে মারাত্মক অবস্থা বিরাজ করছে। সঠিক ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হলে সরকারের সরে দাঁড়ানো উচিত। পারবেনও না আবার ছাড়বেনও না, তা হতে পারে না।’

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড সংলগ্ন গুলশান লেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এসময় জাতীয় মৎস্যজীবি পার্টি আয়োজিত এক সমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি সংকটে আমরা সরকারকে সহয়াতা করতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু সরকার আমাদের ডাকছে না। দেশের মানুষ উৎন্ঠার সাথে জানতে চাচ্ছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। কিন্তু সরকার কোনো কিছুই পরিষ্কার করছে না।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা জানতে পারছি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তৈরি কিছু প্রতিষ্ঠানকে বসিয়ে বসিয়ে মাসে ২ হাজার কোটি টাকা হারে ২৪ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। অপর এক সূত্রে জানা গেছে, পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এমন কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩০ হাজার কোটি টাকা। বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে পিডিবিকে আর বিদ্যুৎ দেবেনা ওইসব প্রতিষ্ঠান। এমন বাস্তবতায় দেশের সচেতন মহলের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ আর মেগা প্রকল্প চায় না, দেশের মানুষ চায় খেয়ে পরে বাঁচতে। দেশের মানুষ মেগা প্রকল্পের পরিবর্তে স্বল্প খরচে সুচিকিৎসা প্রত্যাশা করে।’

জিএম কাদের বলেন, ‘দেশের মৎস্য উৎপাদনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। সমন্বিত মাছ চাষের মাধ্যমে শুধু মাছের উৎপাদনই বাড়েনি, মৎস্যজীবিদের ভাগ্যের উন্নয়ণেও অসামান্য অবদান রেখেছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব- সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, আশিক আহমেদ প্রমুখ।