ছিনতাই করতে গিয়েই খুন করা হয় শাবি শিক্ষার্থী বুলবুলকে

ছিনতাই করতেই গিয়েই খুন করা হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুর ২টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।

এ ঘটনার সঙ্গে আর কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আজবাহার আলী শেখ বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বুলবুল ও তার বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজিকালুর টিলায় ঘুরতে যান। সেখানে আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা আবুল হোসেন, কামরুল আহমদ ও মোহাম্মদ হাসান ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বুলবুলকে ঝাপটে ধরেন। এ সময় ব্যাপক ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘটনার অন্যতম হোতা কামরুল তারা হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বুলবুলকে আঘাত করেন। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে ঘটনাস্থলে থাকা তিনজন তিন দিকে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর প্রথমে আমরা আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করি। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কামরুল আহমদ (২৯) ও মোহাম্মদ হাসানকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় নিহত বুলবুলের মোবাইল ও হত্যায় ব্যবহার করা ছুরি কামরুল ইসলামের টিলাগাঁওয়ের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তারা জালালাবাদ থানায় পুলিশের হেফাজতে আছে। তাদের আদালতে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেফতার ৩ জনের বাড়ি সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী টিলারগাঁও এলাকায়। তারা সবাই পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেফতার তিনজন আগেও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আজবাহার আলী শেখ বলেন, বিষটি তদন্তাধীন আছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা। জিজ্ঞাসাবাদের পরই জানতে পারবো যে তারা আগে এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা।

ঘটনার সঙ্গে বুলবুলের বান্ধবীর কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো সম্পৃক্ততা পাইনি। তবে পরবর্তীতে কিছু পেলে তা জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গাজীকালুর টিলার পাশে বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাত করেন দুর্বৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে নেন। সেখান থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বুলবুল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার চিনিশপুর নন্দিপাড়ায়। তার বাবার নাম মৃত ওহাব আলী।