পুলিশের গুলিতে নিহত আব্দুর রহিমের রক্ত বৃথা যাবে না: ফখরুল

ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমের রক্ত বৃথা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আন্দোলন বেগবান করতে হবে।’

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টাযর দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমের গায়েবানা জানাজায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। এই রক্তকে ধারণ করে আমাদেরকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরকে আরও শক্তিশালী হয়ে আরও গতিশালী হয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে আমার গণতন্ত্রগামী ভাইয়ের রক্ত ঝরেছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে এবং আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিমকে হত্যা করেছে। শুধু আব্দুর রহিম নয়, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাসহ প্রায় শতাধিক নেতাকে গুলিবর্ষণ করে আহত করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা বিরুদ্ধে ভোলার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফ্যাসিবাদী সরকার পুলিশ দিয়ে গুলির মাধ্যমে জানান দিয়ে দিয়েছে তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে আন্দোলনকে দমন করতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘ভোলায় রহিমের রক্ত মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে- এদেশের মানুষ কখনোই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দমননীতিকে ভয় করবে না, তারা দেশকে মুক্ত করার জন্য, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তারা জীবন দিয়ে হলেও রক্ত দিয়ে হলেও প্রতিষ্ঠা করবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই দোয়া করছি আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। আর যারা আহত হয়েছেন তারা যেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রমুখ।

জানাযায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ অংশ নেন।