‘দেউলিয়া’ হওয়ার আগেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে: সাকি

শ্রীলঙ্কার মতো ‘দেউলিয়া’ হওয়ার আগেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেছেন, “আইএমএফের শর্ত দেশকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে। সরকার দেশকে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাবে। তার আগেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।”

 

রোববার বিকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

 

সরকার পতনে সোমবার সাত দলের সমন্বয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “গণসংতি আন্দোলন তিন বছর ধরে বৃহত্তর ঐক্যের আওয়াজ দিয়েছে। আগামীকাল সাতটি দল মিলে গণতন্ত্র মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করবে। ইতোমধ্যে অপরাপর রাজনৈতিক জোট, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গেও কথা বলেছি, কীভাবে রাজপথে আন্দোলন হতে পারে।

 

“বিএনপি ও তাদের জোটও সামনে আসছে। আলোচনা চলছে, কীভাবে যুগপৎ আন্দোলন হতে পারে। সরকার পতনের লক্ষ্য নিয়ে যুগপৎ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলবে।”

 

 

আইএমএফের ঋণ নিলে দেশের অবস্থা ‘ভয়াবহ’ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “সরকার দেশকে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ফেলে আইএমএফের দ্বারস্থ করে জনগণকে আরও ভয়াবহ বিপজ্জনক খাদে নিয়ে যাচ্ছে।

 

“তারা ইউক্রেইন-রাশিয়ার যুদ্ধকে একমাত্র কারণ হিসেবে দেখিয়ে নানাভাবে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করল। এখন আবারও ইউক্রেইন-রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে।”

 

শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে সাকি বলেন, “বাংলাদেশে এই লুটপাটতন্ত্র কায়েম হয়েছে এই স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার কারণে। যার উপরে বসে শেখ হাসিনা একটা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদ কায়েম করেছেন। কাজেই এবারের লড়াই শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের লড়াই, এবারের লড়াই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লড়াই।

 

“নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য এই সরকারকে ক্ষমতাকে থেকে নামিয়ে জনগণের অভ্যুত্থানের মুখে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার হাতে ক্ষমতা দিয়ে জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত সরকার কায়েম করব। বাংলাদেশে জবাবদিহিতাপূর্ণ শাসন প্রতিষ্ঠা করব।”

 

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতা দেওয়ান আব্দুর রশিদ মিলু দীপক রায়, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া বক্তব্য দেন।