ম্যালেরিয়া নির্মূলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকেও ব্যবস্থা নিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

jahid malek
ফাইল ছবি

 

২০২০ সালের তুলনায় গত বছর দেশে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়ছে বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মো. জাহিদ মালেক বলেছেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলে শুধুমাত্র দেশে ব্যবস্থা নিলে হবে না। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে সেসব দেশেও যাতে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ বন্ধ হয়ে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

বুধবার রাজধানীর বনানীর রেডিসন হোটেলে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ডব্লিউএইচও ও ব্র‍্যাকের ৫ম যৌথ পর্যবেক্ষণ মিশন শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিডের সময়ে দেশে অনেকে স্বাস্থ্যসেবা পায়নি। এজন্য ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বাড়তে পারে। এছাড়া আমাদের ম্যালেরিয়া নির্মূলে নিজেরা কাজের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশে মশা নির্মূল হলেও বর্ডার দিয়ে মশা তো আর আটকে থাকেনা।

 

জাহিদ মালেক জানান, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মাঝে আমরা দেশকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করবো। এর মাঝে আমরা দেশে পোলিও, টিটেনাস ও কালাজ্বর মুক্ত করেছি। ২০১৪ সালে ম্যলেরিয়া সংক্রমণ ছিল ৫৭ হাজারের বেশি। বর্তমানে ৬ থেকে ৭ হাজারের বেশি সংক্রমণ হয় না। আমার মতে সঠিকভাবে কাজ করলে ২০৩০ সালের আগে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব।

 

মন্ত্রী জানান, মশাবাহিত রোগগুলো বন্ধে মশার মূল উৎস নষ্ট করতে হবে। বর্তমানে ডেঙ্গুতেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন আক্রান্ত হচ্ছে। মারাও গেছে অনেকজন। এ কারণে মশা নির্মূলেও আমাদের কাজ করতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, কোভিডের সময়েও ম্যালেরিয়া নির্মূলে কাজ করেছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে এটিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে উঁচু এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশ রোগী বান্দরবান এলাকায় পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় বেশি নজর দিতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ ড. বার্দান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।