হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে ২৫৬ রানের পুঁজি

bd criker

 

ওয়ানডের ৩৬ বছরের পথচলায় ৪০০তম ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। পথটাকে তিনভাগে ভাগ করলে প্রায় দুই যুগ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ হয়নি বাংলাদেশ। শেষ এক যুগ এই ফরম্যাটে টাইগারদের উন্নতির গল্প মুখে মুখে রটেছে। ওই গল্পে কালি লাগার শঙ্কা। ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লজ্জা এড়ানোর ম্যাচ তামিমের দলের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৫৬ রান।

 

টি-২০ মতো ওয়ানডেও টস হারের হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের। অনুমিতভাবে শুরুতে ব্যাট করতে নামেন তামিম ইকবালরা। অধিনায়কের ধীর এবং এনামুল হকের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৪১ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল (৩০ বলে ১৯ রান) ধীরে রান তুলে ফিরে যান। পরেই ক্রিজে এসে ডাক মারেন তরুণ নাজমুল শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ ৪৭ রানে হারায় তিন উইকেট।

 

 

ওই ধাক্কা সামাল নেন মাহমুদউল্লাহ এবং এনামুল হক। দু’জন ৭৭ রানের জুটি গড়েন। তবে ওই জুটিতে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর অবদান কেবল উইকেটে টিকে থাকা। এক প্রান্ত দিয়ে রান বাড়িয়ে নিয়ে এনামুল সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন। কিন্তু তিনি ৭১ বলে ছয়টি চার ও চারটি দারুণ ওভার বাউন্ডারিতে ৭৬ রান করে আউট হন।

 

 

পরে আফিফ হোসেন এবং মাহমুদউল্লাহ ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটিতেও খুব বেশি অবদান ছিল না টি-২০ নেতৃত্ব হারানো ফিনিশার খ্যাত ব্যাটারের। তিনি সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে ৬৯ বল খেলে তিন চারে নামের পাশে ৩৯ রান যোগ করেন। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে ৮১ বলে ৮৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে আফিফ দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন। তিনি ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। বাউন্ডারির সঙ্গে ডাবল-সিঙ্গেলে নিজের এবং দলের রান এগিয়ে নেন।

 

শেষ দিকে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজ ২৪ বলে ১৪ রান যোগ করেন। তাইজুল করেন ১৩ রানে ৫ রান। হাসান মাহমুদ এবং মুস্তাফিজ যথাক্রমে চারটি ও পাঁচটি করে বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের হয়ে লুক জনজি এবং ইভান্স ব্রাড দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিচার্ড এনগ্রাভা ও সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশের তিন ব্যাটার রান আউট হয়েছেন।