চারদিকে উন্নতি, সন্ধ্যা হলেই মোমবাতি: রিজভী

ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই নিশিরাতের সরকার দেশকে দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। যে দেশে অলিগার্কদের স্বার্থে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারিত কিংবা আইনপ্রণীত হয়, সেখানে এটিই অনিবার্য পরিণতি। ঘরে ঘরে এখন স্লোগান শোনা যাচ্ছে— ‘চারদিকে উন্নতি, সন্ধ্যা হলেই মোমবাতি’।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মন্ত্রীদের উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন— আমাদের তহবিল খালি হয়ে যাচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন— আমরা এখন একটু অসুবিধায় পড়ে গেছি। টাকার ঘাটতি পড়ে গেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেছেন— অবশ্যই দেশের অর্থনীতি চাপে আছে।

 

রিজভী দাবি করেন, গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী ও গভর্নরের এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে পরিস্থিতি অতিভয়াবহ। এমনিতে দ্রব্যমূল্য, গ্যাস-বিদ্যুৎ, পরিবহণ, লোডশেডিং সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের স্মরণকালের সর্বোচ্চ সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি। এর প্রভাব পড়েছে সর্বক্ষেত্রে। জনজীবনে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষেরা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষেও টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা এতটা সঙ্গীন হয়ে পড়েছে যে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কোনো একক উপায় খুঁজে পাচ্ছে না গণধিকৃত নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার।

 

তিনি আরও দাবি করেন, সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। ফলে সরকারপক্ষের লোকজন হুমকি-ধমকি থেকে শুরু করে প্রতিবাদী মানুষকে হত্যা করা শুরু করেছে। বাকশাল, নিশিরাতের নির্বাচন, বিনাভোটের নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ সেটিরই উদাহরণ।

 

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রোল মডেলের হাতে এখন ভিক্ষার থালা। শেখ হাসিনা তার ভয়াবহ বিপদ বুঝতে পারছেন। সে জন্যই মুখে নানারকম বড়াই করলেও ঋণের জন্য অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আইএমএফ, এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের দুয়ারে দুয়ারে পাঠাচ্ছেন। জনগণকে এখন প্রতিদিন কৃচ্ছ্রসাধনের বাণী শোনাচ্ছেন।