সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম কমলো ৪ টাকা

সপ্তাহের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম তিন থেকে চার টাকা কমেছে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২১ আগস্ট) ডলার ১০৯ থেকে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে।

গত রোববার (১৪ আগস্ট) খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছিল ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে।
রোববার ঢাকার মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজার থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মার্কিন ডলারের দাম ঈদের আগে ও পরে ১০০ থেকে ১০২ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছিল। কিন্তু গত ১০ আগস্ট হঠাৎ তা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হলে সরকারের বাজার তদারকি এবং মুনাফার পরিমাণ বেঁধে দেওয়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করে।

মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের বাজার তদারকির কারণে ধীরে ধীরে ডরারের দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে তারা ডলার প্রতি এক থেকে এক টাকা ৫০ পয়সা ব্যবসা করছেন বলেও জানান।

এ ব্যাপারে জামান মানি এক্সচেঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. জামান বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ডলারের দাম তিন থেকে চার টাকা কমেছে। আমরা ডলার সকাল থেকে ১০৮ টাকায় কিনে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করে বিক্রি করছি। সরকারের নজরদারি বাড়ায় এই দাম কমেছে।

তিনি বলেন, অবৈধ ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ এবং সরকারের নজরদারি আরও বাড়লে ডলারের দাম আরও কমে আসবে।

ডলারের বাজারে আস্তে আস্তে স্থিতিশীলতা ফিরছে বলে মনে করেন রেইনবো মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা ডলার ১০৮ টাকা দরে কিনে ১০৯ টাকা ও ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যে মুনাফা বেঁধে দিয়েছে, বাজার স্থিতিশীল থাকলে এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় না। আমাদের ডলার প্রতি এক টাকা মুনাফাই অনেক।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট সংকট কাটাতে ব্যাংকের মতো মানি চেঞ্জারদের ডলার বেচা-কেনায় ব্যবধান (স্প্রেড) নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মানি এক্সচেঞ্জগুলো যে দামে ডলার কিনবে, তার চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। ডলার সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলোর মতো মানি এক্সচেঞ্জগুলোকেও লাভ করার এই সীমা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

খোলাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়।