ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দ্বারা বিএনপি-জামায়াতের জন্ম। তারা আইএসআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা কখনও আলাদা হতে পারে না, কখনও হবেও না।’
সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছেড়ে দিয়েছে- গণমাধ্যমের এমন খবর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছে, ২০ দলীয় জোট এখন কার্যকর নেই। তারা আর বিএনপির সঙ্গে নেই। কিন্তু আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত কখনও আলাদা হতে পারে না। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। কারণ, বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান ছাত্রশিবিরের এক সমাবেশে বলেছিলো, ছাত্রশিবির-ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই ভাই। আর এক মায়ের দুই সন্তান বিএনপি এবং জামায়াত। এদের জন্মই হয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন বিচ্ছেদের কথা প্রচার করছে তারা। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি যতদিন সক্রিয় থাকবে, ততদিন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হবে না। পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে দিতে হবে। এদের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘খুনি জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগকে ছিন্নভিন্ন করেছিল। তার লক্ষ্য ছিল, আওয়ামী লীগকে যদি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশে আর কখনও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে।’
আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছে। মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে বলেছে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মুজাহিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন, পাকিস্তানের জঙ্গী মজিদ ভাটকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। আজ ইতিহাস উন্মোচন হয়েছে। তবু এখনও তারা মিথ্যাচার করছে।’