যশোর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীর নামে আরো একটি মামলা

সরকারি অফিসে প্রবেশ করে কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান, মারপিট করে জখম, ক্ষতি সাধন ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে যশোর জেলা বিএনপি নেতা গোলাম রেজা দুলুসহ ৫৬ নেতাকর্মীর নামে আরো একটি মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান সাকির (৩৮) এ মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছে সদরের চাউলিয়া গ্রামের সোহেল রানা তোতা (৪৫) শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার তমাল (৪৪) সদরের বালিয়াডাঙ্গার বাবলু (৩৭) শহরের বারান্দিপাড়ার মোস্তফা আমির ফয়সাল (৩৩) শহরতলীর হামদিপুরের শফিকুল ইসলাম (৪৩) শেখহাটির রাজ্জাক (৪৬) মুড়লির বিহারী রাজু (২৯) চাউলিয়ার আব্দুস সালাম বিশ্বাস (৫৮) রামপুরের শিমুল হোসেন (৪০) রুপদিয়া গোপালপুরের হাসানুর রহমান সাকিল (৪৩) গোপালপুরের রেজাউল ইসলাম রেজা (৪৫) শ্রপদ্দী গ্রামের আবু সাইদ (৫৫) বারিনগর বাজারের বুলবুল (৪৩) একই এলাকার আব্দুস সালাম (৪৫) দক্ষিন ললিতাদহ গ্রামের হাফিজুর রহমান (৪৩) লাউখালির বাবলু (৪১) হাটবিলা জামতলার আফজাল হোসেন (৩৭) শহরের হাজি আব্দুল করিম রোডের রকিবুল ইসলাম চৌধুরি মুল্লুক চান (৪৮) রুপদিয়ার লাইছ খান (৩৫) বারান্দি মোল্লাপাড়ার মাসুম কবির (৩৮) ঘোপের রেজাউল ইসলাম মোল্লা (৪১) সিরাজ সিঙ্গা কুয়াদা বাজারের সিরাজ মোল্লা (৩৮) কুয়াদা বাজার সরদার পাড়ার মফিজুর রহমান টিটু (৩৫) রাজারহাট বাজারের লিটন হোসেন (৩৪) মুড়লি স্কুল পাড়ার মারুফ হোসেন (৪৫) রাজারহাট ধোপাড়ার রাজিব হাসান (৩৩) রামনগরের জহির হাসান (২৭) একই এলাকার মোজাহার (৪৭) রাজারহাটের জাহাঙ্গীর (৩০) মনোহরপুরের দাউদ ইব্রাহিম (৫৫) মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক সড়কের এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৬) রামনগর খানকায়ে ওয়াইছিয়া ইমামুল (৩৬) শেখহাটি লিচুতলার বেনজির বিশ্বাস (৩৭) মথুরাপুরের পারভেজ (৩৬) কচুয়া ঘাটকুলের আসলাম (৩৮) গাইদগাছির ওহেদ মোড়ল (৫৫) মনোহরপুরের আকরাম হোসেন (৫৫) গাইদগাছির মশিয়ার রহমান (৫২) নরেন্দ্রপুর খন্দকারপাড়ার ফারুকুজ্জামান রাসেল (৩৬) হাটবিলা জামতলার কামাল শেখ (২৬) ঘুরুলিয়ার আনোয়ার হোসেন (৩৪) গাইদগাছির কাজি রাহি তনি (৩৫) বলরামপুরের আব্দুল হালিম (৩৩) গাইদগাছির অ্যাড নুরুজ্জামান খান (৫৪) শহরের ঘোপ জেলরোডের সৈয়দ আলী আশফাক (৫০) রুপদিয়া কলাপট্টির মকবুল হোসেন (৪৮) নরেন্দ্রপুরের জিলহাজ (২৮) গোপালপুরের ইমামুল ইসলাম তুহিন (৩৪) নরেন্দ্রপুর বেলতলার সামাদ (৩২) ধোপাপড়ার আলম (৩২) বানিয়াগাতির শফিয়ার রহমান শফি (৩৬) গোপালপুরের কামরুল (৪২) বলরামপুরের জাহাঙ্গীর আলম (৪৩) মানিক দিহির শরীফ (৩৪) রামনগর দক্ষিন পাড়া পারভেজ (৩৬)।
মামলায় বলা হয়েছে, বিএনপির নেতা কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২৭ আগস্ট দুপুরের দিকে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে জনমনে আতংক তৈরি করে। উত্তেজিত বিএনপি কর্মীরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাজমা খাতুনসহ উপস্থিত লোকজনকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে আহত করে। সরকারি কর্তব্য পালনে বাদা প্রদান করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দেশি তৈরি রাম দা, লোহার রড, এস এস পাইপ, হকিস্ট্রিক, সাইজ কাঠ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করে। পরিষদ ভবনের ২টি সোলার, ১টি সনি ব্রাভিয়া টেলিভিশন ১৫টি সিসি ক্যামেরা মূল্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবহৃত ২টি এইচপি ল্যাপটপ মূল্য ১ লাখ টাকা, অফিস কক্ষে রক্ষিত এলজিএসপি কর্নারে রাখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র নিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন তাদেরকে ঠেকাতে গেলে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাপাতাড়ি মারপিট করে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা ইউপি সচিব নাজমা খাতুনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। এর আগে ২৮ আগস্ট রাতে বিএনপির নেতাকর্মীর নামে আরো একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ৫৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। ওই মামলার বাদি যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন।