যশোরে মাদক মামলায় এক নারীর সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার স্পেশাল জেলা ও দায়রা মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আলেয়া বেগম খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার দেয়াড়া উত্তরপাড়ার বাদশা শেখের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মুস্তাফা রাজা।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩ জুলাই দুপুর ১টার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনে মাদক আসছে। তার প্রেক্ষিতে যশোর কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর যশোর সদর সার্কেলের সহযোগিতায় যশোরের মালি এলাকায় রেললাইনের উপর অবস্থান নেন। দুপুর কমিউটার ট্রেনটি আসলে ট্রেনটি থামানো হয়।
পরে তল্লাশিকালে আলেয়া বেগমকে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায় আলেয়ার কাছে থানা একটি কাপড়ের ব্যাগ থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এসএম জাফরুল আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ২০১০ সালের ২১ জুলাই বাদী নিজেই মামলাটি তদন্ত করে আলেয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষনা করে আদালত।