আসন ভাগ, সমঝোতা দুটিতেই ‘না’

 

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে আবারও একসুরে কথা বলেছেন বিএনপির মাঠের নেতারা। শেষ মুহূর্তে দলকে রক্ষার নামে প্রধানমন্ত্রীর পদে শেখ হাসিনাকে রেখে ‘আসন ভাগাভাগি’ বা ‘সমঝোতা’র নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে দলের ভেতর কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা কঠোর হাতে প্রতিহত করারও অঙ্গীকার করেছেন বিএনপির জেলা, বিভাগীয় ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা। আগামীতে সরকার পতনের একদফা চূড়ান্ত আন্দোলনের সময় কোনো ফাঁদে পা না দেওয়ার বিষয়েও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে হঠকারী কর্মসূচি না দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে জনস্বার্থে জাতীয় ও স্থানীয় ইস্যুতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাবও করেন দলটির নেতারা। তবে মাঠ নেতাদের আসন ভাগাভাগি ও সমঝোতার আশঙ্কাকে নাকচ করে দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।

ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে চার দিন ধরে চলা দলের হাইকমান্ডের ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাব করেন জেলা, বিভাগীয় ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা। সভাগুলোতে মাঠপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা, প্রশ্নোত্তর এবং হাত তুলে সমর্থনের মাধ্যমে অন্তত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি হাইকমান্ড।

সূত্র জানায়, সিদ্ধান্তগুলো হলো- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর পদে শেখ হাসিনাকে রেখে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া, ফাঁদে পা না দিয়ে সরকারের সঙ্গে দলের কোনো নেতার আঁতাতের অভিযোগ পেলেই প্রতিহত করা, হঠকারিতা নয়- জনসম্পৃক্ত জাতীয় ও স্থানীয় ইস্যুতে ধারাবাহিক কর্মসূচি নেওয়া, বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জনসমাগম বাড়ানো, যতই অত্যাচার-নির্যাতন আসুক- শক্ত হাতে মোকাবিলা করা, ডিসেম্বর বা জানুয়ারি থেকে সরকার পতনের একদফা চূড়ান্ত আন্দোলন, দ্বন্দ্ব-কোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়া, সাবেক প্রবীণ ও নিষ্ফ্ক্রিয় নেতাদের সক্রিয় করা, বিদেশি ও যুগপৎ আন্দোলনে সমমনাদের ওপর বেশি ভরসা না করা, সরকারের নানা ব্যর্থতা ও অনিয়ম প্রচারে ব্যাপক গণসংযোগ ও পোস্টার-লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রাখা।

আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের নতুন কর্মসূচি সাজাতে এবং বিভাগীয় শহরে ঘোষিত ১০ গণসমাবেশ সফল করতে জেলা, বিভাগ ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া টানা চার দিনের বিভাগভিত্তিক মতবিনিময় সভা মঙ্গলবার শেষ হয়। এতে সারাদেশের ৮২ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে প্রতিটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব যে কোনো একজন বক্তব্য দেন। বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশগুলোকে গণআন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে দেখাতে চায় বিএনপি। সভাগুলোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

দলীয় সূত্র জানায়, দলের ক্রান্তিলগ্নে সব দ্বন্দ্ব ও ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এককাতারে এসে আন্দোলন করতে সভায় আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। বিভাগীয় নেতাদের উদ্দেশে দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা বলেন, এ মুহূর্তে কার পদ আছে, কার নেই, কে ওপরে, কে নিচে কিংবা কে মূল্যায়িত হননি- সেসব নিয়ে কোন্দল করা যাবে না। আগে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

 

মাঠ নেতাদের আশ্বস্ত করে বিএনপির শীর্ষ এক নেতা বলেন, ‘গ্যারান্টি দিচ্ছি, অল্প সময়ের মধ্যেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আপনারা আশা রাখেন, কাজ করেন। সাধারণ মানুষও বেরিয়ে আসবে। এ সরকারের পতন হবে, বিএনপি জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে।’ সভায় আগামী ১০ বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেয় দলের হাইকমান্ড। কেন্দ্র থেকে সরকারের নানা ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ গঠনমূলক বক্তব্য লিখিতভাবে মাঠ নেতাদের সরবরাহ করার কথা বলেন শীর্ষ নেতারা। একই সঙ্গে প্রত্যেক থানা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে পথসভা, কর্মিসভা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে ঘোষিত সমাবেশগুলো সফল ও সার্থক করতে জেলা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সরকারি দলের কর্মী ও আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যত বাধা আসুক জনগণের স্বার্থে বিএনপির চলমান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনেরও প্রস্তুতি চলছে। শিগগির যুগপৎ আন্দোলনেরও রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।

মাঠ নেতারা যা বললেন :মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, সভাগুলোতে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী সংসদ নির্বাচনে যাঁরা অংশ নেবেন কিংবা অভিপ্রায় জানাবেন তাঁদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন মাঠ নেতারা। তাঁরা বলেন, বিএনপির তৃণমূল কখনও বেইমানি করেনি। কেন্দ্রীয় কিছু নেতা লোভে পড়ে বিগত দিনে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছেন। এবার যদি কেউ একই রকম ‘ভুল’ করার সাহস দেখান- তাঁকে বা তাঁদের চূড়ান্ত অপমান করা হবে।

 

সভায় জেলা ও মহানগরের নেতারা বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেনে দলের বেইমানরা সক্রিয় না হলে আজকের পরিস্থিতি তৈরি হতো না। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাও আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু বিশ্বাসঘাতকের প্ররোচনায় বিএনপির হাইকমান্ড আন্দোলন থামিয়ে দেয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দলের মধ্যে কিছু লোভী ছিল। যারা ক্ষমতাসীন দলকে বিশ্বাস করে শুধু নিজেদের আসন নিশ্চিত করে পুরো দলকে নির্বাচনে নিয়েছিল।

 

মাঠ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ওই নির্বাচনে তাঁরা নিজেরা ডুবেছে, দলকেও ডুবিয়েছে। তবে এবার যদি আর কোনো বেইমানের আবির্ভাব ঘটে তাহলে তার বিচার দলের হাইকমান্ড নয়, তৃণমূল নেতাকর্মীরা করবে। একই সঙ্গে তাঁরা বলেন, সারাদেশে নেতাকর্মীদের এবার বাঁচা-মরার লড়াই। হয় জিততে হবে, নয় মরতে হবে। এ আন্দোলন সফল করতে কেন্দ্রের নেতাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর থেকে বেরিয়ে মাঠে থাকার আহ্বান জানান মাঠের নেতারা।

 

সূত্র জানায়, সভায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি প্রশ্ন রাখেন- শেষ মুহূর্তে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে কোনো ‘টোপ’ দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিএনপিকে ১০০ আসন দেওয়ার প্রস্তাবও দিতে পারে। সরকারি ‘টোপ’ গিলে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে ২-৪ জন যুক্তি দিয়ে বলতেও পারেন ‘দলকে বাঁচাতে’ নির্বাচনে যাওয়া উচিত- তখন দল কি সিদ্ধান্ত নেবে?

 

জবাবে দলের শীর্ষনেতা আশ্বস্ত করে বলেন, ‘নো, নেভার। বিএনপির বর্তমান অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর পদে শেখ হাসিনাকে রেখে বিএনপিকে ৩০০ আসন দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও তাঁরা নির্বাচনে যাবেন না। সরকারের এ ধরনের প্রস্তাবে দলের কোনো শীর্ষনেতা ইতিবাচক সাড়া দিলে মাঠ নেতারা কী করবেন- উপস্থিত নেতাদের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে সবাই একবাক্যে আওয়াজ তোলেন- ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব।’

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম সমকালকে বলেন, ধারাবাহিক বৈঠকে দলের হাইকমান্ড দেশ ও দলের ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও নিজেদের বাঁচতে সবাইকে অতীত ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

সূত্র জানিয়েছে, সভায় আগামী ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশের পর সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তাব করেছেন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা এবং মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তাঁরা বলেন, নিয়ম অনুয়ায়ী ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে দিয়ে পরিস্থিতি বুঝে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিতে হবে। এ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিশেষ করে ঢাকার মহাসমাবেশের পর পর আন্দোলনের সঙ্গে জনগণকে আরও সম্পৃক্ত করতে ধারাবাহিক নানা কর্মসূচি দিতে মতামত দেন নেতারা।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন সমকালকে বলেন, সভায় মূলত আগামী দিনে দলের করণীয় নির্ধারণ নিয়েই আলোচনা হয়েছে। হাইকমান্ডকে মাঠ নেতারা যার যার মতো করে মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার বাস্তবায়নে রাজপথে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। আমরা লাঠির রাজনীতি করি না। তবে কেউ যদি এক আঙুল দেখায়, আমরা দুই আঙুল দেখাব। বিভাগীয় সমাবেশ শেষে বিএনপি ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

 

সভায় নেতারা বলেছেন, সরকার হঠানোর একদফা আন্দোলন ডিসেম্বর থেকে শুরু না করলে ফসল ঘরে তোলা যাবে না। জবাবে শীর্ষ নেতারা জানান, তাঁরা আন্দোলনে আছেন। সমমনা সবগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের মাধ্যমেই যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। একই সঙ্গে চূড়ান্ত আন্দোলনের দিনক্ষণও তখন জানানো হবে। বিদেশিদের সমর্থনের ওপর ভরসার বিষয়ে এক নেতার প্রশ্নের জবাবে শীর্ষ এক নেতা বলেন, বিদেশিদের সহযোগিতা ও সমর্থনও প্রয়োজন হবে। তবে নিজেদের সক্ষমতাও দেখাতে হবে।

বিভাগগুলোর একাধিক নেতা বলেন, এখন কর্মসূচিগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নিচ্ছে। তবে কর্মসূচি করতে প্রশাসনের বাধা ডিঙ্গাতে হচ্ছে। কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তিও দেখা দিয়েছে। একজন অনুমতি দেন, অন্যজন আবার বন্ধ করেন। এ রকম পরিস্থিতিতে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে প্রশাসনও নিরপেক্ষ হতে বাধ্য হবে।

 

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন সমকালকে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতি উৎসাহিত হয়ে হামলা-মামলা না করার আহ্বান জানাব। একই সঙ্গে ২০১৪-১৫ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেরা অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের আগে ঢাকা মহানগরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাজাতে আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী, রংপুর ও কুমিল্লা বিভাগের জেলা ও মহানগরের নেতারা। তাঁরা বলেন, বিগত দুটি আন্দোলন ঢাকা মহানগরের ব্যর্থতার কারণে সফল হয়নি। তবে আগের মহানগর কমিটির চেয়ে এবারের কমিটি অনেক বেশি তৎপর। তবু আন্দোলন শুরুর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী করতে হবে। সারাদেশে আন্দোলন সফলতাকে কার্যকরী করতে ঢাকা মহানগরকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

 

সভাগুলোতে মাঠপর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার মতো ইস্যুতে কর্মসূচি ঘোষণা করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। একই সঙ্গে সারাদেশে কমিটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় এবং কেন্দ্রের কড়া নজরদারিতে কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী সমকালকে বলেন, আগামী দিনের আন্দোলনের বিষয়ে মাঠ নেতাদের পরামর্শ নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

 

আগামী ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় শহরে সমাবেশ শুরু করবে বিএনপি। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং সবশেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে মহাসমাবেশ।