জুতার ভেতর পাওয়া গেল সোয়া কোটি টাকা মূল্যের ১৬ সোনার বার!

 

সীতাকুণ্ডে স্বর্ণের বার পাচারের চেষ্টাকালে সুজন কান্তি দাশ (৩৮) নামে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

শনিবার দুপুরে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোহাগ পরিবহণের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সুজন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উত্তর ঢেমশা গ্রামের মৃত নরেশ চন্দ্র দাশের ছেলে। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরা এলাকায় কিং অব কুমিরা কনভেনশন হলের সামনে চেক পোস্ট স্থাপন করেন জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। একপর্যায়ে চট্টগ্রামের দামপাড়া থেকে ছেড়ে আসা সোহাগ পরিবহণের ওই বাসটি চেকপোস্টের সামনে এলে চালককে থামতে সংকেত দেন পুলিশ সদস্যরা। এর পর বাসের জে-৪ সিটে বসা যাত্রীকে তল্লাশি করা হয়। একপর্যায়ে তিনি স্বর্ণ রাখার কথা স্বীকার করে তা কোথায় আছে দেখিয়ে দেন।

 

স্বীকারোক্তির পর তার দুই পায়ের জুতার ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো ১৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা প্রতিটি বারের ওজন ১৮৬৬.১৬০ গ্রাম এবং প্রতিটির দাম ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট এক কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকার স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় তার জুতা থেকে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার ডিবি চট্রগ্রামের ওসি নুর আহমদ আরও জানান, উদ্ধার হওয়া এসব স্বর্ণ বিদেশ থেকে আমদানি করা দাবি করেছেন চোরাকারবারি সুজন। কিন্তু তার পক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। সরকারি শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আমদানি করে এসব স্বর্ণ অধিকমূল্যে বিক্রি করতে তিনি ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিকালে অভিযান চালালেও উদ্ধার করা স্বর্ণগুলো আসল ও বৈধ কিনা বা কোন কাগজপত্র রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে অনেক সময় লেগে যায়। এসব যাচাই-বাছাই শেষে উদ্ধার করা স্বর্ণের বারসহ চোরাচালানকারীকে রোববার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়।

 

একই তথ্য নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, ১৬টি স্বর্ণের বারসহ স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে পরে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।