যশোরে লুটপাট ভাংচুরের ঘটনায় ৮ জনের নামে মামলা

mamla rai

সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ঘরে নেশা করতে দিতে রাজী না হওয়ায় মারপিটসহ রক্তাক্ত জখম করে নগদ ৫০ হাজার ৫শ’ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে ভাংচুর করার অভিযোগে ৮ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

বুধবার ৩০ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন,হামলার শিকার মাহফুজ রহমান আলআমিন ওরফে বাবুর মাতা যশোর শহরের খালদার রোড আখপট্টি এলাকার আব্দুল হামিদের স্ত্রী মোছাঃ হামিদা খাতুন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর বাংলা বাজার এলাকার হাফিজ বুড়োর ছেলে মাসুদ, বালিয়াডাঙ্গা আকবর প্যাটেন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া কামরুল, সিতারামপুর বাংলা বাজারের আতিয়ার রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেন, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার মুক্তার রহমানের ছেলে তারেক, একই এলাকার মুক্তার রহমানের ছেলে সাগর, শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া আমতলার সেলিমের ছেলে জিসান, নীলগঞ্জ সুপারী বাগানের ছেলে মিজান ও সদর উপজেলার সিতারামপুর বাংলা বাজার এলাকার ইকলাস মোল্যার ছেলে আল আমিন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও নেশাখোর। বাদির ছেলে মাহফুজ রহমান আল আমিন ওরফে বাবু বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের লিয়াকত মোল্যার বাড়িতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন জায়গায় থাইগ্লাসের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বাদির ছেলে তার উক্ত ভাড়া বাড়িতে একা থাকে। আসামীরা সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে ছেলের ঘরে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করার চেষ্টা করে। বাদির ছেলে আসামীদেরকে তার ঘরে নেশা করতে বাঁধা নিষেধ করতে গেলে আসামীরা বাদির ছেলেকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। গত ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯ টায় বাদির ছেলেকে বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলা মোড় রফিক ডাক্তারের দোকানের সামনে পেয়ে পথরোধ করে।

সকল আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদির ছেলেকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর জখম করে। এ সময় মাহফুজ রহমান আল আমিন বাবুর কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তার ঘরে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে এবং ঘরে তোষকে নীচে থাকা ৫০ হাজার ৫শ’ টাকা সন্ত্রাসী আল আমিন চুরি করে নিয়ে যায়। মাহফুজ রহমানের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হুমকী ধামকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মাহফুজ রহমানকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।