যশোরে লুটপাট-ভাংচুর মামলায় গ্রেফতার-১

পূর্ব হতে পারিবাকি জমি জয়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৩ ডিসেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার মালঞ্চী দক্ষিণ পাড়ার এক বাড়িতে হামলা নগদ প্রায় ৫লাখ টাকা, স্বর্ণের চেইন লুট ও ভাংচুরের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় কোতয়ালি মডেল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

মামলাটি করেন, সদর উপজেলার মালঞ্চী দক্ষিণপাড়ার নাজমুল ইসলাম ওরফে রাজুর স্ত্রী জোহরা খাতুন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, একই গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুল গফুর,সহোদর আনোয়ার হোসেন,রবিউল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, আব্দুল গফুরের ছেলে লিটন,সহোদর পলাশ ও রবিউল ইসলামের ছেলে মাসুদসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। পুলিশ এ ঘটনায় সোমবার ৫ ডিসেম্বর এজাহার নামীয় আসামী মনোয়ার হোসেনকে মালঞ্চী বাজার থেকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করেছে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীদের বাড়ি ও বাদীর বাড়ি একই গ্রামে। সেই সুবাদে আসামীগন বাদির পরিবারের সদস্য। আসামীদের সাথে বাদির পরিবারের পূর্ব হতে পারিবাকি জমি জায়গা নিয়ে বিরোদ চলে আসছে। আসামীগণ প্রায়ই সময় বিরোধীয় জমি জায়গা নিয়ে পূর্ব হতে বাদির পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকী ধামকী দিযে আসছে। গত ৩ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে বাদির বসত বাড়িতে অবস্থাকালীন পারিবারিক কাজকর্ম করার সময় আসামীগন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদির বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে উঠানে দাঁড়িয়ে বাদির স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

গালিগালাজের এক পর্যায় বাদির স্বামী গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামীগন বাদির স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল গফুরের হুকুমে আনোয়ার হোসেন ও রবিউল ইসলাম বাদির ঘর হতে তার স্বামীকে টানা হেচড়া করে উঠানে নিয়ে আসে। আব্দুল গফুর বাদির স্বামীকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায় আব্দুল গফুর লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে উক্ত আঘাত বাদির স্বামীর বাম চোখে লেগে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়।

আনোয়ার হোসেন হাতুড়ী দিয়ে বাদির স্বামীকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে। আসামীরা বাদির স্বামীর ঘরে ঢুকে আলমারির ড্রয়ার খুলে আলমারি হতে নগদ ৪লাখ ৮০ হাজার টাকা ও বাদির গলায় থাকা ১ভরি স্বর্ণের চেইন লিটন টান দিয়ে ছেড়ে নেয়। আসামীগণ বাদি ও তার স্বামীকে মারপিট করতে থাকলে বাদির চাচাতো দেবর পারভেজ এগিয়ে এসে আসামীদের কবল হতে বাদি ও তার স্বামীকে রক্ষা করতে চাইলে আনোয়ার হোসেন কিল ঘুষি মেরে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।

আসামীগন বাদির ঘরের মধ্যে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে অনুমান ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে এবং খুন জখমের হুমকী দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন বাদির স্বামী ও দেবরকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ সোমবার ৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় মালঞ্চী বাজার থেকে মনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করে।