ছাড়া পেলেন বিএনপির আমান-জুয়েল

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

পরে তাদের বিরুদ্ধে অন্য মামলায় পরোয়ানা না থাকায় রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে একই মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বিএনপির ১৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য ১৫ আসামির সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় আমান উল্লাহ আমান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

শুনানি শেষে বিচারক রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আমান ও জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া আসামি ১৪ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাবেক এমপি সেলিম রেজার রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল (বুধবার) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।

অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।