আর্জেন্টিনা থেকে শুধু দূতাবাসই নয়, আসতে পারে বিশ্বকাপ ট্রফিও!

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখেই এদেশে দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনা। সাধারণত এ ধরনের আলোচনা ক্লোজ ডোরে হয়।

আগে চিঠি চালাচালি হয়। নেগোসিয়েশন হয়। তারপর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে তা জনসম্মুখে আসে। কিন্তু যেহেতু বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আলোচনাটা ওপেন ফোরামে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাই এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত মোটামুটি চূড়ান্ত বলেই ধরে নেওয়া যায়। কারণ দুই দেশের সরকার প্রধান এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে কথাবার্তা বলেছেন। তাই শিগগিরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। আর শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ ট্রফিসহ তাদের দেশের কোনো প্রতিনিধিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায় কিনা তার জন্যও আর্জেন্টিনার সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজশাহীর বাঘায় একটি অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলা প্রশ্নে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

এর আগে সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আনসার-ভিডিপির মডেল ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ট্রফি জয়লাভ করার পর পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে- এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই সে দেশের সমর্থক। বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ। তবে এখনও সবাই সেই ফুটবল উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনার মধ্যেই আছেন। এমনও দাবি এসেছে, যেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ট্রফিটা বাংলাদেশে আনা হয়। তবে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা এখন সুপার বিজি। তাই তারা না পারলেও কোনো প্রতিনিধি দিয়ে যেন বাংলাদেশে তাদের ট্রফিটা পাঠানোর উদ্যোগ নেয় আমরা সেই প্রস্তাবও দেব।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থকদের এ উন্মাদনা দেখে আর্জেন্টিনা অভিভূত। দেশটি বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই তার কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে টুইট করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পরশু দিন আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তার জবাবে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতিও সেই চিঠি দিয়ে টুইট করেছেন। এ থেকে অনুমান করা যাচ্ছে শিগগিরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে উভয় দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে চান।