সার্জারি করিয়েও সারেনি আঙুলের ইনজুরি, দুশ্চিন্তায় নুরুল

‘সার্জারি করানোই কি ভুল হলো।’ আঙুলের ইনজুরি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের আক্ষেপ। পরক্ষণেই নিজেকে স্বান্তনা দিয়ে বললেন, ‘অপারেশন না করালে হয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।’

টি-২০ অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিলেন নুরুল। কিন্তু আঙুলে চিড় ধরা পড়ায় সিরিজ অসামাপ্ত রেখে দেশে ফিরতে হয়েছিল তার। এরপর সিঙ্গাপুরের র‌্যাফেল হাসপাতালে ডা. অ্যান্তোনি ফো’র অধীনে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। খেলতে পারেননি টি-২০ ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপে।

ওই ইনজুরি কাটিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজে ফেরেন নুরুল হাসান। খেলেছেন টি-২০ বিশ্বকাপও। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলেছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। কিন্তু নুরুল হাসান জানিয়েছেন, তাকে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলতে হয়েছে।

রোববার ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে নুরুল বলেছেন, ‘ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে আমাকে ব্যথা কমানোর ইনজেকশন নিয়ে খেলতে হয়েছে। ইনজেকশন নেওয়ার পর ব্যথা কম ছিল। ওমনটা থাকলে সমস্যা হতো না। কিন্তু ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হলেই ব্যথা বেড়ে যায়।’

আঙুলে সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নুরুল বলেন, ‘জানি না, আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো ঠিক না ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সময় হাতে অন্য কোন অপশনও ছিল না। মাঝে মাঝে মনে হয়, অস্ত্রোপচার না করালেই ভালো করতাম। আবার মনে হয়, সার্জারি না করালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো।’

নুরুল জানিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাঁ-হাত দিয়ে বল ধরলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল তার। না পেরে, বাঁ-পাশের বলও ডান হাত দিয়ে ধরছিলেন। ব্যথানাশক একটা ইনজেকশন নিলে তার কয়েক মাস ব্যথা কম থাকার কথা। যদি কার্যকর হয় তাহলে তার জন্য ভালো। বিসিবির মেডিকেল টিম ক্রিকবাজকে জানিয়েছে, ব্যথানাশক ইনজেকশন নুরুলের চিকিৎসার অংশ। সিঙ্গাপুরের সার্জনের পরামর্শ নিয়েই ওই ইনজেকশন নিচ্ছেন তিনি।

নুরুল হাসান আসন্ন বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের নেতৃত্ব দেবেন। আঙুলের ওই ইনজুরি নিয়েই তার খেলা চালিয়ে যেতে হবে। যেটা তার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে। পুরনো ইনজুরিতে কোনপ্রকার আঘাত পেলে তা নতুন করে চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। ওই শঙ্কা মাথায় নিয়েই তার খেলে যেতে হবে।