ভয় পেয়ে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপির আন্দোলনে ভয় পেয়ে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু আগে বলতেন যে, বিএনপি নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না, তাদের নাকি কোমড় নেই। এখন এতো অস্থির হয়ে গেছেন যে, এই আন্দোলন বন্ধ করার জন্য সবরকম শক্তি নিয়োগ করে জনগণের ওপর অত্যাচার করছেন, নির্যাতন করছেন। তার অর্থই হচ্ছে যে, সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই এবং সরকার প্রমাদ গুনছে, ভয় পেয়েছে। অত্যন্ত বেশি ভীত হয়েই তারা এসব আক্রমণ চালাচ্ছে।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই জবাব দেই না। তিনি কখন কী বলেন, কী লক্ষ্যে বলেন, কী কারণে বলেন তা জনগণ ঠিক বুঝতে পারে না। তাই এগুলোর জবাব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। পতন যখন স্পষ্ট হয়, পতন যখন আসতে থাকে, পতন যখন দেখতে পায়, তখন এই ধরনের অনেক অসংলগ্ন কথা বেরিয়ে আসে।

একদিনে শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণঅবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই হামলা চালায়। পুলিশ সেখানে শুধু নিরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করেনি, উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে, লাঠিচার্জ করেছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। গণঅবস্থানের দিনে সারাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় শতাধিক এবং আহত প্রায় আড়াই শ’। ফরিদপুরে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেছে।

যুগপৎ আন্দোলনে গঠিত বিভিন্ন জোট নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথার উত্তর দেন না। কারণ সারাদেশে মানুষও তার কথা গুরুত্ব দেয় না। সেটার প্রমাণ- তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বলার সঙ্গে সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে প্রতীকী ঘটনা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।