যশোরে প্রতিবন্ধীকে মারপিটের ঘটনায় পাঁচ জনের নামে মামলা

পেয়ারা চুরির সন্দেহে প্রতিবন্ধী কিশোর রিফাত সুলতান (১৩)কে গতিরোধ করে মারপিট করে জখম ও মারার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করায় খুন জখমের হুমকী দেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর মধ্যপাড়ার মৃত টিপু সুলতানের স্ত্রী জাহানারা খাতুন স্বপ্না। মামলায় আসামী করেছেন, একই এলাকার মৃত আমানত মোল্যার ছেলে নজরুল ইসলাম ও কাজল, সিতারামপুর শেখপাড়ার নুরো খাঁর ছেলে জাহিদ, টিক্কার ছেলে রিপন ও বুলু।

মামলায় বিধবা স্বপ্না উল্লেখ করেন, তার প্রতিবন্ধী ছেলে রিফাত সুলতান গত ১৩ জানুয়ারী বিকেল সাড়ে ৪ টায় সদর উপজেলার সিতারামপুর (রহিমপুর) প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন নজরুল এর পেয়ারা বাগানের পাশে^ মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলা করতে যায়। খেলা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় বাড়ি ফেরার সময় নজরুল ইসলাম,কাজল, জাহিদ, রিপন, বুলুগন বাদির ছেলেকে পেয়ে পেয়ার চুরি করার সন্দেহে প্রতিবন্ধী রিফাত সুলতানের পথরোধ করে।

আসামীরা সবাই মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। নজরুল ইসলাম জি আই পাইপ দিয়ে রিফাত সুলতানের হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে বাদির ছেলে সরে গেলে উক্ত আঘাত পিঠে লেগে রক্ত জমাট ফুলা জখম হয়। কাজলে হাতে থাকা কোদালের আছাড়ি দিয়ে রিফাত সুলতানতে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে বাদির ছেলে বাম হাত দিয়ে ঠেকালে বাম হাতের বাহুতে রক্ত জমাট ফুলা জখম হয়।

লোকমুখে সংবাদ পেয়ে বাদি ও তার বড় ছেলে রেজয়ান সুলতান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বাদি তার ছেলেকে আহত অবস্থায় মাঠে পড়ে থাকতে দেখে। প্রতিবন্ধী রিফাত সুলতানের পাশে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। আসামীদের মারার কারণ জানতে চাইলে আসামীরা বাদিকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। রিফাতা সুলতান অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে যশোন ২৫০ শয্যা জেনারেল ভর্তি করা হয়। পরে তার কাছ থেকে শুনে থানায় যেয়ে আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।