যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্কমুক্ত তুলা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

তুলা আমদানিতে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে গ্লোবাল কটন সামিটে এ অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহযোগিতায় বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন এই সম্মেলনের আয়োজন করে। কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা ফেভসহ বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেন প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করে থাকে। আর একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তুলা আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে পোশাক শিল্পের জন্য সুবিধা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর দেশের পোশাক শিল্পে ৯০ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন হয়। এর মাত্র এক ১ দশমিক ৬ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বাকিটা আমদানি করতে হয়। দেশে তুলা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবে উৎপাদন দ্বিগুণ হলেও বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করতে হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে চাইলে প্রয়োজন হবে বিপুল পরিমাণ তুলার। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কমুক্ত সুবিধা দরকার।

তুলার উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রালয় বৈঠকে আলোচনা করা হবে- উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কম্বোডিয়ার মতো অনেক দেশে অনেক জমি অব্যবহৃত থাকে। এ ধরনের জমি লিজ নিয়ে যদি সেখানে তুলা উৎপাদন করে দেশে আনা যায়, তা দিয়ে তুলার চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব।