সামনে নির্বাচন, আগুন সন্ত্রাসীরা আবারও তৎপর হতে পারে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

jessore map

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, যখনই নির্বাচন আসে, তখনই ৭১ পরাজিত শক্তির দোসরা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে। নির্বাচনে ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই সারাদেশে আগুন সন্ত্রাসে নামে অস্থিরতা তৈরি করে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে সেই শংকা এখনো রয়েছে। আগুন সন্ত্রাসীদের সকল অপচেষ্টা রুখে দিতে সজাগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

আজ বুধবার বিকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আগুন সন্ত্রাসে নিহত যশোরের ঠিকাদার নুরুজ্জামান পপলু ও তার মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মাইশার পরিবারের খোঁজ নিতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে আট যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে ছিলেন যশোর শহরের ঘোপ এলাকার ঠিকাদার পপলু ও তার মেয়ে মাইশা। কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে তাদের সঙ্গে পপলুর স্ত্রী মাফরুহা বেগম ও ছোট ছেলে আসিফ মো. ইমতিয়াজ জামান থাকলেও ভাগ্যক্রমে তারা দুজন বেঁচে যান। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কেশবপুরে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা উদ্বোধনঅনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ যশোর শহরের ঘোপস্থ নিহত নুরুজ্জামান পপলুর স্বজনের বাড়িতে যান। এসময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পপলু ও মাইশার কাটানো বিভিন্ন ছবি দেখেন। পরে পরিবারটিকে তিন লাখ টাকার অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আগে ও পরে সারাদেশে বিএনপি জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। সেসময়ে অগ্নি সন্ত্রাসীরা সারাদেশে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিলো। মায়ের চোখের সামনে সন্তান-স্বামী জ্বলে পুড়ে মারা যাচ্ছে; এর চেয়ে কষ্টকর দৃশ্য পৃথিবীতে আর হয়না। আমি আজ তাদের সান্তনা দিতে আসেনি; শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। যারা নির্মম নিস্তুর হত্যাকান্ডের হোতা, যারা এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে তাদের এই সমাজব্যবস্থা-রাষ্ঠ্রব্যবস্থা থেকে চিরতরে দূরে রাখতে হবে। কারণ তারা সুযোগ পেলেই আবারও হত্যাকান্ডের পুণরাবৃত্তি ঘটাবে। এজন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন আপনারা সজাগ থাকবেন। সরকারও সজাগ রয়েছে। যেকোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সরকার জনগণ মিলে ঐক্যবন্ধ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের স্থানীয় বিভাগের উপ পরিচালক হুসেইন শওকতসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।