যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সন্ত্রাসী হামলার শিকার

jessore hospital

যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। আহত ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসেন গুরুতর অবস্থায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জাকির হোসেন রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মৃত শহীদ জামানের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় হোটেলের ১০৫ নাম্বার রুমে। বর্তমানে তিনি করোনারী কেয়ার ইউনিটের তিনতলায় স্টুডেন্ট ক্যাবিনে ভর্তি রয়েছেন। হামলার সাথে জড়িত রয়েছেন ডাক্তার, ইন্টার্নি চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা এদিকে, এ ঘটনায় বুধবার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামি তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আহত জাকির হোসেন জানান, ডাক্তার মেহেদী হাসান লিওন, ডাক্তার শামীম হাসান, ডাক্তার আকাশ, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান তানিম, বহিরাগত সাকিবসহ বহিরাগত কয়েকজন ১০৪ নাম্বার রুমে প্রতিনিয়ত মাদকের আড্ডা বসায়। রাতভর চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। ওই রুমের পাশেই তার ১০৫ নাম্বার রুম। ফলে পড়াশোনা করতে চরম বেগ পেতে হয়। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এর জেরে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাত পোনে নয়টা তার রুমে প্রবেশ করে তারা। এরপর হকস্টিক ও জিআই পাইপ দিয়ে তাকে দফায় দফায় মারপিট করে। এভাবে রাত ১১ টা পর্যন্ত তাকে মারতে থাকে। শুধুই তাই নয়, এসময় তার ঘর থেকে নগদ টাকা, মানিব্যাগ, মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। পরে সহপাঠিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ।

অপর একটি সূত্র জানায়, জাকিরের উপর যারা হামলা করেছে তারা একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। হামলাকারীদের অধিকাংশই ডাক্তার। এছাড়া, হোস্টেলে তাদের প্রবেশেও নিষেধাঙ্গা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন। কে শোনে কার কথা। তারা আসেনই সাথে বহিরাগত আরও ৭/৮ জনকে নিয়ে আসে। কিন্তু রাতদিন তারা হোষ্টেলেই পড়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কেউই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। এ বিষয়ে দ্রুতই সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি হাসপাতালে জাকিরকে দেখতে গিয়েছিলেন। জাকিরের হাত ও পা ভেঙেছে। বুকের হাড়েও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।