এবার রুশ জ্বালানি নিষিদ্ধ করল ইইউ

রাশিয়ার ডিজেল জ্বালানি এবং অন্যান্য পরিশোধিত তেল পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেইসঙ্গে জ্বালানির বিষয়ে রুশ নির্ভরতা হ্রাস এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মস্কোর আয় কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপ। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জবাবে মস্কোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল ২৭ দেশের সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা এপি বলছে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ান ডিজেল যেন চীন ও ভারতের মতো দেশ (যেসব দেশ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করছে) ছাড়া অন্য দেশে যেতে না পারে। আর সেটা সম্ভব হলে রাশিয়ার অর্থনীতি সংকুচিত হবে এবং যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাবে মস্কো। এ ছাড়া হঠাৎ করে যাতে মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী ভোক্তরা ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জ্বালানি পণ্যের দাম নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ রাশিয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারত থেকে জ্বালানি আমদানির চেষ্টা করছে। অথচ তা ইউরোপের মোট চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পূরণ করবে। তাছাড়া রাশিয়ার বন্দরের তুলনায় এসব দেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করতে দীর্ঘ যাত্রায় ব্যয়ও বেড়ে যাবে।

এর আগে রাশিয়ার তেলের উপর প্রাইস ক্যাপ (মূল্য বেঁধে দেওয়া) আরোপ করে জি-৭ ভুক্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও কানাডা। যেখানে রুশ ডিজেল, জেট ফুয়েল ও পেট্রোলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। অপরদিকে অপরিশোধিত রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০ ডলার। এর অতিরিক্ত দামে কোনো দেশ বা কোম্পানি রুশ প্রোডাক্ট কিনলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মার্কিন মিত্ররা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে প্রাইস ক্যাপ।