গাজীপুরসহ ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা করছে আওয়ামী লীগ। নেতাদের ধারণা, বিএনপি অংশ না নিলেও প্রার্থী সংকট থাকবে না। কারণ বিএনপির স্থানীয় নেতারা শেষ পর্যন্ত এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না। তাই, প্রতিযোগিতারও ঘাটতি হবে না।
গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলো। কোন কোন দলের মনোনয়ন কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এ নির্বাচনকে অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন, আওয়ামী লীগ। অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ৫ সিটি নির্বাচনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্যাহ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে এ নির্বাচনকে রাজনৈতিক দলগুলো শক্তির পরিক্ষা হিসেবে নেবে।
জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে সে নমুনা ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে থাকবে বলেও বিশ্বাস আওয়ামী লীগ নেতাদের।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যে হতে পারে তা প্রমাণ হবে।
তবে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অনড় বিএনপি। মনোনয়ন ফরমও বিক্রি করেনি দলটি। এক্ষেত্রে সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কি আদৌ সম্ভব?
নেতারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়েই দেশে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ শুরু হবে। তাই, নির্বাচনমুখী কোন দল বা ব্যক্তির এ নির্বাচনকে উপেক্ষার সুযোগ থাকবে না।