একের পর এক আগুনের ঘটনাকে বিএনপির নাশকতা বলে সন্দেহ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারদলীয় নেতাদের এই সন্দেহকে দোষারোপের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা বলতে হলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ দিতে হবে। অভিযোগ করলে তা বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণ করতে হবে। অগ্নিকাণ্ড বা নাশকতা যাই হোক, তা প্রতিরোধের দায়িত্ব সরকারের।
বুধবার রাজধানীর কুড়িলে দুস্থদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, টেলিভিশন খুললে দেখা যায় প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হচ্ছে। তাহলে দেশে লোডশেডিং কেন? বিদ্যুতের জন্য হাহাকার কেন? প্রতিদিনই উৎপাদনের রেকর্ড হলে তা প্রচার করতে হবে কেন? এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মানুষ বিদ্যুৎ না পেলে রেকর্ড দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বেশির ভাগ মানুষ অভাবে আছেন। ঈদের আনন্দ-উৎসব করার সামর্থ্য তাদের নেই। বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। মধ্যবিত্তরা দিনে দিনে নিম্নমধ্যবিত্ত হয়ে যাচ্ছে। আর নিম্নমধ্যবিত্তরা দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।
এ সময় জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তোতা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ আবু তৈয়ব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।