যশোরের বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের অকর্মকান্ডকে যেমন বাদ দিতে পারবে না, তেমনি তাকেও বাদ দিতে পারবে না। তার কর্মকান্ড যে ভাবে বেচে থাকবে ,সেভাবে তিনিও বেচে থাকবেন। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে জনগণের মাঝে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। তার জীবদ্দশায় যা কিছু করেছেন,সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য করেছেন। তিনি বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির ধারার সূচনা করে গেছেন। তার রাজনীতি ছিল,উন্নয়ন,উৎপাদন,জনগণের গণতন্ত্রের ও সবার জন্য উন্নয়নের রাজনীতি যেটি জনগণ গ্রহণ করেছে বলে আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়ে অনেক প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল হয়েও যতবার সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে,ততবার জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের কাছে পরাজিত হয়েছে।
আজকে যারা ক্ষমতায় তারা গণতন্ত্রকে জবাই করেছিল,আর জিয়াউর রহমান সেই জবাই করা গণতন্ত্রের গোরস্থানের ওপর থেকে বহুদলীয় গণন্ত্রের বাগান রচনা করেছেন।মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিডি হল মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন,আইন করে ও সংবিধানে লিখে স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে যাই বলুক না কেন,সেই দিনের সাড়ে ৭ কোটি জনগণ তার প্রত্যক্ষদর্শী । তারা সেদিন শহীদ জিয়ার কণ্ঠে তাদের নিজ কানে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিল । সেটি তারা অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে অনেকে বলে ইপিআর’র মাধ্যমে তারা নাকি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল,কিন্তু যেদিন রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা হয়,সেদিন সন্ধ্যায় ইপিআর দখল করে নিয়েছিল,পাক সেনাবাহিনী।
শহীদ জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের জন্য যা করেছেন, তা নিয়ে কর্মী হিসেবে আমরা যতটা গর্ব করতে পারি। যেটা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা পারে না। কারণ আমাদের নেতা কখনো দেশ ও জনগণের প্রশ্নে আপোষ করেন নি। আজকে ক্ষমতাসীনরা ১/১১ অসাংবিধানিক সরকারের সাথে আতায়ত করে ক্ষমতা দখল করে বলেছিল এটা আমাদের আন্দোলন ফসল। তারা সেদিন ওই অসাংবিধানিক সরকারের কাছ থেকে শপথ নিয়েছিল। এখন তারা বলছে, ১/১১ সরকার অবৈধ ছিল।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জেলা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু,লেখক ও গবেষক বেনজীন খান ,
যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন,জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রাজিদুর রহমান সাগর সহ যশোর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের এবং উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন,জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
