শার্শায় সাংবাদিক নজরুলের বাড়িতে হামলা, তিনজন জখম

যশোরের শার্শায় সাংবাদিক নজরুল ইসলামের পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শ্যালিকার মেয়ের প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ার জেরে সন্ত্রাসী তুহিনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

সন্ত্রাসীদের বেধড়ক মারপিটে গুরুতর আহত সাংবাদিক নজরুল ইসলাম (৪৭) তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৩২) ও ছেলে শিহাব হোসেন (১২) শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে তুহিন ও তার ক্যাডারদের হুমকি-ধামকিতে সাংবাদিক নজরুল ইসলামের পরিবারের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি জাতীয় দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শার্শা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

শার্শা উপজেলার উলাশী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জানান,তার শ্যালিকার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে উলাশী গ্রামের জামসেরের ছেলে তুহিন। এই বিয়ে সাংবাদিক পরিবার মেনে না নেয়ার জেরে তুহিন পক্ষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলো।

নজরুল ইসলাম আরও জানান,গত ২৮ মে আমার স্ত্রী ও ছেলে মিলে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যাই। সেখানে তুহিন আগে থেকেই ছিলেন। সেখানে তার সাথে আমার স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হলে নিজের বাড়ি ফিরে আসি। পরে একই দিন রাত সাড়ে ৭ টার দিকে তুহিনের নেতৃত্বে ৬/৭ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা আমি ও আমার স্ত্রী সন্তানকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে তারা আমার পকেটে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও আমার স্ত্রী গলা থেকে একটি সোনার চেইনসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা আমাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জানান, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা তাদের পিতা-পুত্রের কানে কাঠ দিয়ে আঘাত করে। তার ডান কান মারাত্মক জখম হয়েছে। আর ছেলে শিহাবের বাম কানে কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্ত্রী সেলিনা খাতুনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে।
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার বাসায় ফেরার পর তুহিন ও তার ক্যাডাররা তাদেরকে মামলা না করার জন্য শাসিয়েছেন। অন্যথায় তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে সাংবাদিক পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এই বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আকিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক নজরুল ইসলামের পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।