ডেপুটি নিয়ে নামতে হবে তামিমকে

বিসিবি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে ও টি২০ দলে অধিনায়কের সঙ্গে একজন সহ-অধিনায়ক রাখার। গত দু’দিনে এ দুই সংস্করণের দল ঘোষণা করা হলেও তামিম ইকবাল বা সাকিব আল হাসানের সহকারীর নাম জানায়নি।

এ বিষয়ে গতকাল বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সিরিজ শুরুর আগে সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করা হবে। কে হচ্ছেন ওয়ানডে ও টি২০ দলের ভবিষ্যৎ নেতা– এ নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। জাতীয় দল-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে লিটনের পক্ষেই সমর্থন বেশি। লিটন মোটামুটি পরীক্ষিতও। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে সিরিজ ও টেস্ট ম্যাচ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে উইকেটরক্ষক এ ব্যাটারের।

সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল ছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেললেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁরা দু’জনই খেলবেন। সাকিবের আঙুলের চোট ভালো হওয়ায় ব্যাটিং এবং বোলিও শুরু করেছেন। বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে রেখেই ওয়ানডে দল ঘোষণা করা হয়েছে। আর তামিম ওয়ানডে দলের অধিনায়কই। টেস্টের আগে কোমরের পুরোনো ব্যথা মাথাচাড়া দিলেও ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ব্যথাও চলে গেছে। শনিবার ১১টার দিকে ইনডোরের পাশে আউটার নেটে ব্যাটিংও করেছেন তিনি।

অতীতেও দেখা গেছে টেস্টের আগে অসুস্থ বোধ বা ব্যথা অনুভব করা বাঁহাতি এ ওপেনার নিজের সংস্করণে পুরোপুরি ফিট। অবশ্য ব্যথা থাকলেও বিশ্বকাপের আগে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ বাদ দিতে চাইবেন না তিনি। কারণ নেতৃত্বে থেকে বিশ্বকাপ দল যাচাই করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। সাকিবের সে রকম কোনো চিন্তায় পড়তে হচ্ছে না আপাতত। টি২০ বিশ্বকাপ হতে এক বছরের বেশি সময় বাকি। এ সময়ের মধ্যে পরিণত একটি দল বেছে নিতে হবে তাঁকে।

এ কারণে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের দলে কয়েকজন ক্রিকেটারকে পরখ করে দেখা হয়েছে। আগামী মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজের দলেও আনা হয়েছে কিছু পরিবর্তন। এই সংস্করণে রশিদ খানরা শক্তিশালী দল হওয়ায় পরীক্ষিতদের নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বিসিবি ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ফেরানো হয়েছে আফিফ হোসেন ও এবাদত হোসেনকে। বাদ দেওয়া হয়েছে আবাহনীর উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি অনিককে। কোনো ম্যাচ না খেলিয়ে একজন ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। যদিও নির্বাচক হাবিবুল বাশারের যুক্তি, ‘জাকের আলিকে আগের সিরিজে নেওয়া হয়েছিল বিকল্প হিসেবে। ম্যাচ খেলার সুযোগ না দিয়ে বাদ দেওয়ার কারণ সেরাদের বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে অনিককে আমরা এ দলে রেখেছি। ভালো করলে অবশ্যই জাতীয় দলে সুযোগ থাকবে।’

১৫ জনের দলে বোলারই সাতজন। এ ছাড়া সাকিব, মিরাজকে নিয়ে দু’জন অলরাউন্ডারও রয়েছেন। সেদিক থেকে দেখলে ব্যাটার নেওয়া হয়েছে ছয়জন। এ তালিকায় আফিফ রয়েছেন। এক সিরিজ পরে দলে ফিরেছেন তিনি। মুস্তাফিজ, হাসান মাহমুদ, তাসকিন, শরিফুল থাকার পরও পেসার এবাদতকে নেওয়া হয় পঞ্চম বোলার হিসেবে।

বিপিএলের বোলিং বিশ্লেষণ করে এবাদতকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান বাশার। জাকের আলি অনিককে বাদ দেওয়ায় টি২০ দলে উইকেটরক্ষক শুধু লিটন কুমার দাস। কোনো কারণে তিনি কিপিং করতে না পারলে বিকল্প নামানো কঠিন হয়ে পড়বে। যাই হোক, এই স্কোয়াড নিয়ে ১৪ ও ১৬ জুলাই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।