যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের সাত বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, মিয়ানমারের চলমান মানবিক সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘন অনেক জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের এবং বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের এবং মিয়ানমার, বাংলাদেশসহ আশপাশের অঞ্চলে সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, গত সাত বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তায় প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছে। আমরা রোহিঙ্গাসহ সব বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ও নির্যাতনের নথিপত্রও পর্যালোচনা করে দেখি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য মিয়ানমারে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট রয়েছে, একই সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আমাদের আহ্বান।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন রোহিঙ্গারা। এরপর গত ৭ বছরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।