বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় ২০০ জন নিহত

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় ২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১৪০ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা।

 

স্থানীয় সময় গত শনিবার (২৪ আগস্ট) দেশটির কায়া শহরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) উত্তরে অবস্থিত বারসালোঘো অঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

 

গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 

ইতোমধ্যে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম)।

 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ,নিরাপত্তা ফাঁড়ি রক্ষার জন্য পরিখা খননকারী লোকজনের ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা।

 

অস্ত্র ও একটি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

সেনেগালের ডাকার থেকে আল জাজিরার নিকোলাস হক বলেছেন, জেএনআইএম হামলার পরের ভয়াবহ ভিডিও পোস্ট করেছে।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, নারী-পুরুষ এবং শিশুরা যেই পরিখা খনন করছিল, তারা এর ভেতরে মরে পড়ে আছে। কার্যত এটি তাদের গণকবরে পরিণত হয়েছে। ’

একটি আক্রমণ ঘটতে চলেছে তা আগে থেকেই খবর পেয়েছিল বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী। এ লক্ষ্যে জনগণকে তারা পরিখা খননের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

এমনটাই জানালেন নিকোলাস হক।

এরপরও হামলাকারীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী। এই বাহিনী আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে তাদের দেশের অর্ধেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন নিকোলাস হক।

 

উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসোতে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

 

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) তথ্য বলছে, সহিংসতায় গত বছর বুরকিনা ফাসোতে ৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন, যা আগের বছরের মৃত্যুর তুলনায় দ্বিগুণ।