যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যশোর ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে । স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আগামী অক্টোবরে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে ঝুঁকি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন করে জেলায় ১১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে মোট ৩১ জন রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এদিকে মশক নিধনে যশোর পৌরসভাসহ জেলার আটটি পৌরসভা বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যশোর শহরে মশক নিধনে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান যশোর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান।
সূত্র জানায়, সাধারণত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। যশোর জেলায় চলতি মৌসুমের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসান জানান, বর্তমানে জেলার সাতটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৮৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৩ জন, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯, ঝিকরগাছায় ১৭, বাঘারপাড়ায় ৮, অভয়নগরে ২১ ও কেশবপুরে ৮ জন চিকিৎসাধীন। গত আট মাসের তুলনায় চলতি মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মদ্যে ২৯৯ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরিয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে জেলার প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। সে জন্য বাড়ির আশপাশে ও ডোবা-নালা, ময়লা-আবর্জনার স্তুব, নোংরা ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা ছাড়াও ফুলের টব, টায়ার ও ডাবের খোলার পানি ফেলে দিতে হবে।’
২০১৯ সালে যশোর জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। তখন রীতিমতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। জেলায় মোট আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৫১ জনে। ২০২০ সালে ৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর ২০২২ সালে আক্রান্ত হন ৪৪৬ জন। কিন্তু ২০২৩ সালে ডেঙ্গু চোখ রাঙানি ফের ফিরে আসে। ওই বছর ১৫ জন ডেঙ্গুতে মারা যান।