যশোরের শার্শার পন্ডিতপুর গ্রামের প্রবাসী যুবক সালাউদ্দিন স্ত্রীর প্রতারণার শিকার হয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। প্রবাস থেকে পাঠানো সব টাকা-পয়সা নিয়ে এক পুলিশকে বিয়ে করে অন্যত্র সংসার করছে স্ত্রী রেকসোনা বেগম। এ ঘটনায় কয়েক দফা শালিস মিমাংসা হলেও টাকা ফেরত পায়নি সালাউদ্দিন। টাকার আশায় এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রবাসী যুবক সালাউদ্দিন।
প্রবাসী সালাউদ্দিন জানান, ২০০৭ সালে প্রেম করে বিয়ে করে পন্ডিতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সালাউদ্দন একই গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে রেকসোনা বেগমকে। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান আসে। এরপর সালাউদ্দিন সংসারে স্বাচ্ছন্দ আনতে ২০১০ সালে মালয়েশিয়া যান। সেখানে যাওয়ার পর আয়-রোজগার করে সমস্ত টাকা পয়সা স্ত্রী রেকসোনার কাছে পাঠান। রেকসোনা টাকা পয়সা নিয়ে নিজের নামে জমি ক্রয় করেন এবং টাকা পয়সা সব রেকসোনা নিজের ইচ্ছা মত খরচ করতে থাকেন।
এরই মধ্যে এক পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে রেকসোনার। পরে রেকসোনা ওই পুলিশকে বিয়ে করেন। এ খবর জানতে পেরে সালাউদ্দিন বিদেশ থেকে বাড়ি চলে আসে। বাড়ি এসে দেখে তার স্ত্রী তার আর নেই। সে অন্যের ঘরে ঘরনি হয়ে পড়েছে। সেসময় সালাউদ্দিন বিদেশ থেকে পাঠানো তার সমস্ত টাকা পয়সা ফেরত চায়। এ নিয়ে তখন রেকসোনার পরিবার টালবাহানা শুরু করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। ভয়ে সালাউদ্দিন নিশ্চুপ হয়ে যায়। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট-পরিবর্তন হলে সালাউদ্দিন তার টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা না দেওয়ার জন্য টালবাহানা করতে থাকে রেকসোনার ও তার পরিবার। গত ২৯ নভেম্বর রাতে রেকসোনার পরিবার একটি সাজানো ঘটনাকে হামলা-মারপিট ও লুটপাটের বলে অপপ্রচার করতে থাকে।
সালাউদ্দিন আরো জানান, তার চাচা রওশন মাস্টার এলাকার একজন শ্রদ্ধেয় মানুষ। তার কাছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ লেখাপড়া করে দেশ-বিদেশে চাকরি করছেন। তার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছে। তার চাচাতো ভাইদের নামে একই রকম অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে।
এছাড়া এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরব্বী ওলিয়ার রহমানের নামেও একই রকম মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে রেকসোনা ও তার পরিবার।
তবে রেকসোনার দাবি, সালাউদ্দিন বিদেশ থেকে তার কাছে কোন টাকা পয়সা দিতো না। তার ও সন্তানের কোন ভরণ পোষন না দেওয়ায় তাকে তালাক দিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে কয়েকবার তার বাড়িতে সালাউদ্দিন হামলা চালিয়েছে। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার শালিস মিমাংসা হয়েছে। সেখানে সালাউদ্দিন টাকা পয়সা পাঠিয়েছে তার কোন সত্যাতা প্রমান হাজির করতে পারেনি। সে এখন জোর পূবক টাকা আদায় করতে চায়। গত ২৯ নভেম্বর রাতে তাদের বাড়িতে একদল লোক নিয়ে হামলা চালিয়েছে।