মহান বিজয় দিবসে জনরোশের শিকার হয়ে পালিয়ে গেলেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। তিনি শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ না করেই গাড়ি করে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
স্থানীয়রা জানায়, মহান বিজয় দিবসে সকাল সাড়ে ৬ টায় তোপধ্বনীর দিকসটির সুচনা করা হয়। সেখানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না ইউএনও। পরে সকাল ৮টায় শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণের কথা থাকলেও তিনি আসেন ৯টায়। এছাড়া শহীদ বেদী চত্বর ছিল অপরিস্কার অপিরচ্ছন্ন।
এসব কারনে সকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসা লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষি হয়। তিনি গাড়িযোগে সকাল ৯টায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসলে অপেক্ষামান লোজন তার গাড়ি ঘেরাও করে। তাকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পুস্পমাল্য অর্পণ না করেই তিনি পালিয়ে যান।
বিক্ষুব্ধরা চলে গেলে শেষে সকাল ১০ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে তিনি শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, পুর্ব নির্ধারিত সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহীদ বেদীতে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাহী অফিসারের গাড়ি ঘিরে লোকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেসময় নির্বাহী অফিসার গাড়ি থেকে নামার পরিবেশ না পেয়ে শহীদ বেদী থেকে ফিরে যান। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসেন মে’র সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার ফোন একবার রিসিভ করেন কোটচাঁদপুর উপজেলা এসিল্যান্ড। তিনি বলেন স্যার মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। এখন কথা বলতে পারছেন না।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, কোটচাঁদপুর উপজেলায় শহীদ বেদীতে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত, দুঃখজনক। আমি ঘটনাটি ৮টার পরে জানার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এরপর সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃতেই¡ মহান বিজয় দিবসের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই পরিচালিত হয়েছে। পরিস্থিতিও স্বাভাবিক আছে।