যশোরে লিটন পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়ক মারুফ হোসেন (২৭) আহত হয়েছেন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের পালবাড়ি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন আরও দুইটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দু’ব্যক্তি জখম হয়েছেন। আহতদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডাক্তার হুমায়রা আক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাত্র সমন্বয়ক মারুফ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন।
আহত মারুফ হোসেন ময়মনসিংহ শহরে হরমুজ আলীর ছেলে এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনোমিক্সের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী।
এদিকে অপর দুইটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার দৌলতদিহি গ্রামের ইয়ামিন বিশ্বাসের ছেলে আসলাম বিশ্বাস(৪৫) ও সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন(৩৫)।
আহত মারুফ হোসেনের ভাই সারোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরের আসছিলেন। পথিমধ্যে শহরের পালবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লিটন পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মারুফ মোটরসাইকেল নিয়ে পাকা রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ে আহত হন। পরে স্থানীয় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সার্জারি ওয়ার্ডের ডাক্তার হুমায়রা আক্তার জানিয়েছেন, ছেলেটির অবস্থা খুবই খারাপ। তার মুখের চামড়া উঠে গেছে। হাত ভেঙে গেছে। মাথায় ও বুকে মারাত্মকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। বিধায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার সকাল ৮টার দিকে আসলাম (৪৫) বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাজারে আসছিল। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সাথে গিয়ে ধাক্কা লাগলে তিনি ছিটকে রাস্তার উপরে পড়ে আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অপরদিকে এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইব্রাহিম মোটরসাইকেল নিয়ে কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পাঁচবাড়িয়া নামক স্থানে পৌঁছালে বাইসাইকেলের সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় ইব্রাহিম রাস্তার উপরে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন।
সার্জারি বিভাগের ডাক্তার হুমায়রা আক্তার জানান, আহত আসলাম ও ইব্রাহিমের শারীরিক অবস্থা ভালো। তাদেরকে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে।