যশোরের চৌগাছায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের দাবীর মুখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগীত করা হয়েছে। (১৬ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সরকারি শাহাদৎ পাইলট মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহনকারিদের বেশিরভাগই পতিত সরকারের অনুসারি। একারনে ছাত্ররা দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে। তাদের দাবীর মুখে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগীত করা হয়।
উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাসেদুল ইসলাম রিতম জানায়, উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সকল জনশক্তিই পতিত সরকারের। রিতম অভিযোগ করে বলে, তালিকায় উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী ইস্মতারা, স্বরুপদাহ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা ধুলিয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী পন্থী শিক্ষক নেতা কয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম মুক্তি, স্বরুপদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামাউল ইসলামসহ তালিকার নিরানব্বই ভাগই পতিত সরকারের পদধারী নেতা কর্মী।
ছাত্ররা অভিযোগ করে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার আগে যারা এ কার্যক্রমে অংশগ্রন করবেন তাদের তালিকা হালনাগাদ করার প্রয়োজন ছিল। ১৬ বছর ধরে যারা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে তাদেরকে দিয়েই আবার কাজ শুরু করেছেন যা আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব না।
ছাত্ররা আরও অভিযোগ করে, আমরা প্রথম থেকেই নির্বাচন অফিসকে অনুরোধ করে আসছিলাম তালিকা প্রনয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহনকারি শিক্ষকদের একটি স্বচ্ছ তালিকা করতে। কিন্তু তারা অতিমাত্রায় আওয়ামী তোষনের কারনে এই কাজটি না করেই প্রশিক্ষন কার্যক্রম শুরু করেছেন।
সকালে জানতে পেরে আমরা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করি। এক পর্যায় নির্বাচন অফিসার সেলিম রেজা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাময়িক স্থগীত ঘোষনা করলে ছাত্ররা স্থান ত্যাগ করে। এসময় তিনি আমাদের প্রতিশ্রæতি দেন ভোটার তালিাক হালনাগাদ কাজে অংশগ্রহনকারিদের নাম পূূণরায় যাচায়-বাচায় করা হবে।
জানাযায়, ২০২২ সালে এই উপজেলা নির্বাচন অফিসার যোগদানের পরে উাপজেলায় চারটি প্রহসনমূল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার সময়ে একটি ইউপি, একটি উপজেলা, একটি পৌরসভা ও একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু তার দায়িত্ব পালনকালে নৌকার প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীরা অফিসে পাত্তাই পাইনি বলে অভিযোগ রয়োছে। মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন করে নির্বাচনী ফলাফল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রার্থী পাশ করানোর অভিযোগও রয়েছে। নির্বাচনী অফিসারের সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে অফিসের উচ্চমান সহকারি শিরাজুল ইসলাম এবং পিয়ন হানুরুর রশিদ। উপজেলাবাসির দাবী তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা করা হোক।
প্রশিক্ষণ স্থগীতের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নির্বাচন অফিস আমার সাথে কোনো আলাপ আলোচনা করেনি।