কেশবপুরের আশা সমিতির পাঁজিয়া শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অনুমতি না নিয়ে ডিপিএসের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারনার এঘটনার গ্রাহকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আশা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ প্রশাসনের একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রতন বিশ্বাস।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মনডাঙ্গা গ্রামের সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের ছেলে রতন কুমার বিশ্বাস আশা সমিতির পাঁজিয়া বাজার শাখার সেজুতি কেন্দ্রের ১ নং সদস্য। তার এ সমিতিতে দুটি ডিপিএস রয়েছে। গত বছরের ২১ মার্চ গরু ক্রয় স্কীমের ৬ মাস মেয়াদী ৯৮ হাজার টাকা লোন নেন রতন । ঋনের মেয়াদ শেষ হবার পূর্বেই গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। লোনের বাকি অর্থ পরিশোধের জন্য কিছুদিন সময় নিয়ে একই বছরের ০১ অক্টোবর অফিসে গেলে শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম কিবড়িয়া জানান ঋনের বাকি টাকা দেয়া লাগবে না, আপনাদের ডিপিএস ভেঙ্গে লোন সমন্বয় করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া আমানতের অর্থ উত্তোলনের ঘটনায় হতবাক হয়েছেন গ্রাহক রতন বিশ্বাস ।
এঘটনায় প্রতিকারের জন্য রতন বিশ্বাস আশা সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিচালক, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে রতন বিশ্বাস বলেন, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার কারনে ঋন গ্রহিতাদের কিস্তি আদায়ের সময়সীমা বৃদ্ধি এবং সহজ শর্তে ঋন প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অমান্য করে আশা সমিতি সেচ্ছাচারী মুলক আচরন করে তিল তিল করে গড়ে তোলা অর্থ অবগত না করে সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে উত্তোলন করেছেন । সমিতি তাদের ঋনের টাকা পরিশোধ করলেও আমার জমাকৃত টাকা লভ্যাংশ না দিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আশা সমিতি পাঁজিয়া বাজার শাখার গোলাম কিবড়িয়া বলেন, ঋনের টাকা দিতে দেরি করায় গ্রাহকের মৌখিক অনুমতি নিয়ে সমিতির নিয়ম মেনে ও ঋনের শর্ত অনুযায়ী ডিপিএসের টাকা এ্যাডজাস্ট করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।