নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় মনে হলে বিএনপি বাধা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সংস্কার কমিশনের তিনটি প্রস্তাব ইসির স্বাধীনতা খর্ব করবে—প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন মন্তব্য উত্থাপন করা হলে সাংবাদিকদের কাছে এমন অবস্থানের কথা জানান নজরুল ইসলাম খান।
এদিন বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অংশীদারদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা শেষে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। সে অনুযায়ী যদি আইন, বিধির পরিবর্তন হয়, নির্বাচন কমিশনকে তা মানতে হবে। তবে সেগুলো এখনো হয়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন, সেটি জানতে চেয়েছি। মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় মনে হয়েছে, আগামী মে-জুন মাসের মধ্যে তারা আপডেটেড ভোটার লিস্ট দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত থাকবে। তবে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন কমিশনের নাই। রাজনৈতিক মতামতের ভিত্তিতে সরকারের অনুরোধ সাপেক্ষে কমিশন নির্বাচন আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, ইসির প্রস্তুতি অনুযায়ী খুব দ্রুতই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব, যদি মে-জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ প্রস্তুতি থাকে। আরও কিছু প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকলেও সেটা দূর করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা, আমার মনে হয়, তারা সেটা নিচ্ছে।
বিএনপি কত দিনের মধ্যে নির্বাচন চায়—এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির এই সিনিয়র নেতা বলেন, যেহেতু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দায়িত্ব সরকারের। আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের একটি আলোচনা রয়েছে। আমরা সেখানে এই প্রসঙ্গ তুলব।