ধর্ষণের দৃশ্যের পর সারা শরীর কাঁপছিল, শুরু হয় বমি: দিয়া মির্জা

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা সিনেমায় ধর্ষণ বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন। ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় মোটেও সহজ নয় বলে জানান তিনি।
২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল দিয়া মির্জার ওয়েব সিরিজ ‘কাফির’। সেই সিরিজই এবার মুক্তি পাচ্ছে সিনেমার আকারে। ‘কাফির’তে এক নিরীহ পাকিস্তানি নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই নারী ভুল করে পেরিয়ে আসেন পাকিস্তান-ভারত সীমান্ত। তার পর তাকে জঙ্গি মনে করে ভারতে বন্দি করে রাখা হয়। এ সিনেমারই ধর্ষণের একটি দৃশ্য নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন দিয়া মির্জা। ধর্ষণের দৃশ্যের পর নাকি বমি করেছিলেন অভিনেত্রী।
দিয়া মির্জা বলেন, মনে আছে ধর্ষণের দৃশ্যের শুটিং। খুব কঠিন ছিল। শুটিং হয়ে যাওয়ার পর আমার সারা শরীর কাঁপছিল। বমিও হয়েছিল, মনে আছে। পুরো দৃশ্যের শুটিংয়ের পর অসুস্থবোধ করছিলাম। শারীরিক ও মানসিকভাবে এ দৃশ্য এমনই বেদনাদায়ক ছিল। ধর্ষণের দৃশ্যের তীব্রতা সাংঘাতিক। অনুভব করা যায় সেটি।
অভিনেত্রী বলেন এ ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল হিমাচল প্রদেশে। তিনি বলেন, বেশ কিছু কঠিন মুহূর্ত ছিল এ সিনেমার শুটিংয়ে। খুব সুন্দর পরিবেশে শুটিং করছিলাম আমরা। হিমাচলে ৩৬০ পাতার চিত্রনাট্যের শুটিং আমরা ৪৫ দিনে শেষ করেছিলাম। তাই শুটিংয়ের মাঝে মাত্র ১৫-১৮ মিনিট বিরতি পেতাম। খুবই কঠিন ছিল সবটা। তবে এ ধরনের গল্প সচরাচর বলা হয় না। তাই এ সিরিজ কিংবা সিনেমা আমাদের কাছে একটি জয়।
দিয়া বলেন, সত্য ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিল এ সিনেমা। ধর্ষিতার জায়গায় বারবার নিজেকে বসিয়ে ভেবেছিলেন তিনি। তাই এ সিনেমার পর মনের ওপরেও প্রভাব পড়েছিল তার বলে জানান অভিনেত্রী।