মাঠে চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ম্যাচ। বুধবার মাঠের বাইরে সেই ম্যাচ নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা। দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার পরও মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয় কীভাবে খেললেন, বিতর্ক এ নিয়ে।
অভিজ্ঞ আম্পায়ার এনামুল হক মনি এর প্রতিবাদে আগেই টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা ইবনে শহীদ সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে ফিরে এসেছেন।
কাল আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর সঙ্গে আলোচনায় তাওহিদের আরেক ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বহাল থাকছে। তাওহিদের ঘটনা নিয়ে ঢাকা লিগে কয়েকদিন ধরে বির্তক চলছে। শনিবার সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছেন তাওহিদ।
ওই ম্যাচে খেলার কথা ছিল না তার। এরপরই ঢাকা লিগের ম্যাচ রেফারিরা আলোচনায় বসেন। সেখানে দেবব্রত পালের মনোভাবের কারণে সরে যেতে চান একাধিক ম্যাচ রেফারি। তারা আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন।
কাল তাদের আরেকটি সভা হয়েছে। শাস্তি মওকুফ বা কমানোর এখতিয়ার না থাকলেও তাওহিদের ক্ষেত্রে আম্পায়ার্স বিভাগ এমনটাই করে। পরে ভুল স্বীকার করেছে তারা। নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি কমানো বা মওকুফের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে শুধু সিসিডিএম।
সভা শেষে যুগান্তরকে ইফতেখার বলেন, ‘এখানে আলাদা কমিটি রয়েছে। আম্পায়ার প্যানেলের সবাই সঠিক পথে থাকুক, আমার এটাই চাওয়া। আমরা টেকনিক্যাল কমিটি পুনর্গঠন করছি। নাজমুল আবেদীন ফাহিম ভাই এটার প্রধান হবেন। তাওহিদের বিষয়টি এখন টেকনিক্যাল কমিটি দেখবে।’
এদিকে দেবব্রত পাল উলটো ম্যাচ রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমি শুধু বলেছিলাম, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটেও অপরাধ অনুযায়ী কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। এ কথা বলতেই নেয়ামুর রশীদ রাহুল আমার চরিত্র, এমনকি পরিবার নিয়েও বাজে কথা বলেছেন। আমি বিসিবি সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি চাই যারা সত্যিই নিয়ম ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’