যশোরে ট্রাফিক পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল যাত্রীবাহী ট্রেন, পুরস্কৃত দুই সদস্য

যশোরে ট্রাফিক পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল যাত্রীবাহী ট্রেন, পুরস্কৃত দুই সদস্য

যশোরের শহরতলীর ধর্মতলা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এই সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ যশোর জেলার পুলিশ সুপার রওনক জাহান ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছেন।

ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ এপ্রিল সকালে। ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত মোবাইল ডিউটির অংশ হিসেবে টিএসআই কবিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম ধর্মতলা এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এসে তাদের জানান, নিকটবর্তী একটি রেলক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকা লাইনম্যান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

অবিলম্বেই পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং দেখতে পান যে লাইনম্যান জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাঁপছেন ও দায়িত্ব পালনে অক্ষম। তারা দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য একটি রিকশায় করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ঠিক সেই মুহূর্তে তারা জানতে পারেন যে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ওই রেলক্রসিং অতিক্রম করবে। সম্ভাব্য বিপদ আঁচ করতে পেরে কনস্টেবল শরিফুল তাৎক্ষণিকভাবে নিজ উদ্যোগে রেলগেটের ব্যারিয়ার নামিয়ে দেন। ফলে যাত্রীবাহী ট্রেনটি নিরাপদে ওই ক্রসিং পার হতে সক্ষম হয়।

এই ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরলে ওই দুই কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার ব্যাপক প্রশংসা হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি আজ ১২ মে সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টিএসআই কবিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে পুরস্কৃত করেন।

পুরস্কার প্রদানকালে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, এই ধরনের কর্তব্যনিষ্ঠা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করে। তাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে বহু মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। এই পুরস্কার তাদের প্রাপ্য।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার এবং যশোর ট্রাফিক পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাফুজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।