যশোরে বিক্রি করা জমির দখলে নিতে নানা ষড়যন্ত্র

দাদার বিক্রি করা জমির দখলে নিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন পোতা ছেলে ইউনুচ আলী ইমন। এরমধ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলও করেছেন ইউনুচ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন যশোর সদরের পতেঙ্গালি গ্রামের দানেচ আলীর ছেলে ইসরাইল হোসেন।

এর আগে মঙ্গলবার ইউনুচ আলী ইমন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, তার দাদা বুধই মোড়ল আরএস ৬৫৮দাগের ৩৪ শতক জমির মধ্যে ১৭ শতক জমি ২০০৯ সালে আমাদের নামে দলিল করে দিয়েছেন। ২০১০ সালে বাকি ১৭ শতক জমি দানেচ আলীর কাছে বিক্রি করলে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ৩৪ শতক জমি দলিল করে নিয়েছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ইসরাইল হোসেন জানিয়েছেন, আমি শহরতলীর আরবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছি। গত ১৭ তারিখে আরবপুর ইউনিয়ন দুর্গাপুর গ্রামের ময়েন উদ্দিন ছেলে ইউনুস আলী ইমন আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ।

তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ইউনুচ আলীর ইমনের দাদা বুধই মোড়ল ও তার স্ত্রী জাবেদা খাতুন তাদের রেকর্ডকৃত দুর্গাপুর মৌজার এসএ ৪৫ খতিয়ানের, আর এস ২৩০ খতিয়ানের ৬৫৮ দাগের ৩৪ শতক জমি ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি ক্রয় করেন আমার পিতা দানেচ গোলাজার। এই ৩৪ শতক জমির মধ্যে ১৭ শতক জমি তারা তাদের নিজেদের বলে দাবি করছেন। যা অযৌক্তিক। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষের কাগজ পত্র নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করলেও ইউনুচ ও তার লোকজন কর্ণপাত করেনি। এ জমি ক্রয় সূত্রে দখল পাওয়ার পর থেকে আমার পিতা ভোগদলখ করে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, গত ১৭ জুন ইউনুস আলী ইমন সংবাদ সম্মেলনে আমাকে ও আমার সংগঠন যুবদলকে জড়িয়ে যে তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোন জমি জবরদখলের সাথে আমি ও আমার দলের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন দানেচ মোড়ল, মাসুদ রানা, রকিবুল ইসলাম, জামাল সরদার প্রমুখ।