দলীয় শক্তিমত্তার বিচারে স্পেন স্পষ্ট ফেভারিট। ফুটবলবোদ্ধাদের ভোটও ২০১০ বিশ্বকাপজয়ীদের পক্ষেই। কিন্তু রোনালদো সেই ফেভারিট তত্ত্ব বা বোদ্ধাদের রায়কে পাত্তা দিচ্ছেন না। সোচির যুদ্ধে নামার আগে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ সুপারস্টার বরং এক রকম ঘোষণাই দিলেন, স্পেনকে হারিয়ে দেবে তার পর্তুগাল!
বয়স বলছে এটাই তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। চাইলেও ৪ বছর পরের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না। ফলে বিশ্বকাপ জয়ের আজনন্ম স্বপ্ন পূরণের এটাই শেষ সুযোগ। ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো সেই স্বপ্ন দেখছেনও। তবে নিজের সেই স্বপ্নের কথা হাজির করে বেড়াতে পারছেন না। কারণ, তিনি ভালো করেই জানেন বিশ্বসেরা দলগুলোর তুলনায় তার দল পর্তুগাল অনেকটাই পিছিয়ে।
রোনালদো এটা অকপটে বলেও দিয়েছেন, তার দল পর্তুগাল ফেভারিট নয়। তাদের চেয়েও অনেক ভালো দল আছে টুর্নামেন্টে। আর নিশ্চিতভাবেই সেই ভালো দলগুলোর একটি এই স্পেন। যাদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে রোনালদোদের বিশ্বকাপ মিশন।
রোনালদোও মানছেন আজকের যুদ্ধে স্পেনই ফেভারিট। কিন্তু জয় প্রশ্নে রোনালদো শতভাগ আশাবাদী। গতকাল বৃহস্পতিবার স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক এএসকে রোনালদো স্পষ্ট করেই বলেছেন, স্পেনকে হারিয়ে দেওয়ার কথা!
সোচিতে স্পেন ও পর্তুগাল দল উঠেছে কাছাকাছি হোটেলে। স্বাভাবিকভাবেই সোচিতে রোনালদোদের হোটেল রেডিসন ব্লু প্যারাডাইসে যাতায়াত রয়েছে স্পেনের সাংবাদিকদের। প্রতিপক্ষ পর্তুগাল শিবির ম্যাচটা নিয়ে কি ভাবছে, তাদের পরিকল্পনাই কি, নানা খুঁটিনাটি বিষয় উদ্ধার করাই উদ্দেশ্য। তো ঘুরাঘুরির এক ফাঁকে ঠিকই হোটেল লবিতে পর্তুগাল অধিনায়ক রোনালদোকে পেয়ে যান এএস-এর সাংবাদিক মানু সেইঞ্জ।
সাক্ষাত হতেই তিনি রোনালদোর কাছে জানতে চান ম্যাচ নিয়ে তার ভাবনা কি! উত্তরে রোনালদো যা বলেছেন, তাতে সাংবাদিক মানু সেইঞ্জ হতাশই হওয়ার কথা। রোনালদো একবাক্যের উত্তরে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘আগামীকাল (আজ শুক্রবার) আমরা স্পেনকে হারাতে যাচ্ছি।’
ম্যাচের আগে সব দলই প্রতিপক্ষের উপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করতে মনস্তাত্ত্বিক খেলায় খেলায় মেতে উঠে। হারিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষ স্পেনের সঙ্গে সেই মনস্তাত্ত্বিক খেলাই কি খেললেন পর্তুগিজ অধিনায়ক?