‘মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না, তারা অল রাবিশ’

ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তাদের ওপর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তাদের কোনো কথা বিশ্বাস করা যায় না। দে আর অল রাবিশ।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে গতকাল শনিবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তাঁরা দুজনই আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে আজ সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন।

দুপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাঁদের সঙ্গে আমাদের দফায় দফায় কথা হয়েছে, বৈঠক হয়েছে, সবগুলো বিষয় রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক কারণে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। এটা জনবহুল বাংলাদেশের জন্য একটা বড় বোঝা। আমরা সফররত নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ভেতর সেফ জোন তৈরি করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখার জন্য। এটি আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া সম্ভব না। আমরা তাদের সহায়তা চেয়েছি।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা একটি জাতিকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এখন সচেতন হয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য দিয়ে আমরা গত এক বছর রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছি। আগামী এক বছরও আন্তর্জাতিক সাহায্য দিয়ে সহায়তা করা সম্ভব হবে। বাজেটে আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা রেখেছি।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের যেভাবে সহযোগিতা করছে তাতে দেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান দীর্ঘমেয়াদি হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সাহায্য সহযোগিতায় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের কিছু পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে সেফ জোন তৈরি করে তাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠানো। ১৯৯২ সাল থেকে এরা আসছে। তাদের ফেরতও পাঠানো হয়েছে। এবারই বেশি সংখ্যায় এসেছে এবং অনেক দিন ধরে আসছে।